গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে গতকাল শুক্রবার সকালে বজ্রপাতে পাঁচজন নিহত ও অন্তত ৪ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় ও প্রশাসনের দেয়া তথ্যে প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ-
দিনাজপুর : জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলায় করলা খেতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার সময় উপজেলার পদুমহার গ্রামে তাদের লাশ পাওয়া যায়।
নিহতরা হলেন- নবাবগঞ্জ উপজেলার পদুমহার গ্রামের জবান আলীর ছেলে রাজা মিয়া ও ঘোড়াঘাট উপজেলার চৌরিগাছা গ্রামের মো. শাহজাহান আলী। তারা দু’জন সম্পর্কে বেয়াই। স্থানীয়রা জানান, ঘোড়াঘাট উপজেলার শাহজাহান আলী বেয়াই রাজকারের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। দুই বেয়াই মিলে গ্রামের পাশে করলা ক্ষেতে কাজ করতে যান। এ সময় বৃষ্টি শুরু হলে ক্ষেতের পাশে সেচ পাম্পের টিনের ছাউনি ঘরে আশ্রয় নেন। সেখানে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই দু’জন মারা যান।
নাটোর : নাটোরের নলডাঙ্গায় বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো দুজন। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ভোরে নলডাঙ্গা উপজেলার হালতিবিলে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- মোমিন হোসেন ও রায়হান আলী । আহতরা হলেন- মো. সেন্টু এবং মকবুল হোসেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হালতিবিলে নৌকা নিয়ে তিনজন শামুক তুলতে যান। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মোমিন হোসেনের মৃত্যু হয়। এতে নৌকায় থাকা আরো একজন গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে নওগাঁর আত্রাই থানার ওসি মো. সাহাবুদ্দীন জানান- হালতিবিলে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে রায়হান আলী নামে আরেকজনের মৃত্যু হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নেত্রকোণা : হাওড়ে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে তানভীর হোসেন নামের এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আরো দুজন আহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার খালিয়াজুরী হাওরে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। নিহত তানবীর উপজেলার সদর ইউনিয়নের গছিখাই গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে। আহতরা হলেন- পিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া। তারা সহোদর দুই ভাই ও উপজেলার সদর ইউনিয়নের গছিখাই গ্রামের কুতুব উদ্দীন ভুঁইয়ার ছেলে। জানা গেছে, খালিয়াজুরী হাওরে মাছ ধরতে যায় তিনজন। রাত দেড়টার দিকে বৃষ্টির সঙ্গে প্রচুর বজ্রপাত হয়। এতে তানবীরসহ সাথে থাকা দুজন গুরুতর আহত হয়। পাশের নৌকার জেলেরা দেখতে পেয়ে তাদের উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে স্বজনরা তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তানবীরকে মৃত ঘোষণা করেন।