ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

বগুড়ায় গাড়ল পালনে স্বাবলম্বী হচ্ছে খামারিরা

বগুড়ায় গাড়ল পালনে স্বাবলম্বী হচ্ছে খামারিরা

বগুড়ায় গাড়ল পালনে স্বাবলম্বী হচ্ছে খামারিরা। গাড়ল ভেড়া জাতীয় একটি প্রাণী। তবে ভেড়া নয়। এর লালন পালনে খরচ অনেক কম। আর খরচের তুলনায় লাভ অনেক বেশি। স্বাদ ও পুষ্টিগুণ বেশি হওয়ায় এর মাংসের চাহিদা ব্যাপক। বর্তমানে এই জাতের পশু পালনে লাভের মুখ দেখছেন উদ্যোক্তারা। বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলায় অনেক উদ্যোক্তা গাড়ল পালন করে বেশ লাভের মুখ দেখছেন। চাকরির পেছনে হন্য হয়ে না ছুটে শিক্ষিত বেকার তরুণরা গাড়ল পালনে এগিয়ে এসে অল্প দিনেই সফলতা মুখ সহজেই দেখতে পাবে। জেলার কয়েকটি উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, গাড়ল পালনে উদ্যোক্তারা বেশ আগ্রহী। জানা যায়, এটি ভেড়ার জাত। তবে ভেড়া থেকে এটি বেশি বড় হয় এবং এর লেজও লম্বা হয়। গাড়ল ভেড়ার মতোই নিরীহ ও বোকা। দেখতে ভেড়ার চেয়ে কিছুটা সুন্দরও বটে। অনেকটা দুম্বার মতো হয়ে থাকে। এই জাতের পশু সব পরিবেশের সাথেই মানিয়ে চলতে পারে। এই জাত কোরবানিও দেওয়া যায়। বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলায় গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি গাড়লের খামার গড়ে উঠেছে। যেখানে বাণিজ্যিকভাবে পালন হচ্ছে গাড়ল। ব্যক্তি উদ্যোগে অনেক গৃহস্থ ও কৃষক গাড়ল পালন করছেন।বগুড়া সরিষাকান্দির খামারি ইউনুছ আলী বলেন, ৩ বছর আগে ৪০ শতাংশ জায়গায় গাড়লের খামার গড়ে তুলি। গাড়ল সাধারণত কাঁচা ঘাস, গাছের পাতা, বিচুলী, ভূষি, খৈলসহ সব ধরনের খাবার খেয়ে থাকে। এগুলো স্বভাবে শান্তশিষ্ট হলেও পুরুষ কিছুটা রাগী প্রকৃতির। আমরা ৬৫টি গাড়ল নিয়ে খামার শুরু করেছিলাম। বর্তমানে আমাদের খামারে গাড়লের সংখ্যা ১৫০টি। একটি গাড়লের বাচ্চার দাম ৬-৮ হাজার টাকা। মাদি বিক্রি হয় প্রতিটি ১২-১৩ হাজার টাকায়। গর্ভবতী গাড়লের দাম ১৫-১৬ হাজার টাকা। আমাদের ১ থেকে দেড় হাজার গাড়ল পালনের পরিকল্পনা রয়েছে। গাড়ল পালন অনেক সহজ ও খরচ অনেক কম হওয়ায় যুবকরা এই জাতের পশু পালনে ঝুঁকছেন। গাড়লের মাংসে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেক কম। দিন দিন গাড়ল পালনে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। এই জাতের পশুপালন দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত