ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গুলি করা ছাত্র-যুবলীগ নেতাকর্মী কেন গ্রেপ্তার হচ্ছে না

প্রশ্ন রিজভীর
গুলি করা ছাত্র-যুবলীগ নেতাকর্মী কেন গ্রেপ্তার হচ্ছে না

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ছাত্রদের ওপর যেসব ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মী বন্দুক দিয়ে গুলি চালিয়েছে, সেই ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মী এখনও কেন গ্রেফতার হচ্ছে না? তিনি বলেন, যারা আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ফয়েজকে হত্যা করেছে তাদের আপনারা খুঁজে পাবেন না এটা কেমন কথা? আপনারা যদি এদের আইনের আওতায় না আনেন তাহলে তারা আরো বড় ধরনের নাশকতা করবে।

গতকাল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক দেশে ফিরে তাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি জিয়াউর রহমানের মাজারে যান এবং সেখানে ফাতেহা পাঠ করেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের অনেক নেতা ভারতে গিয়েছে। ভারত তাদের পাসপোর্ট চেক করেনি। তাদের ভিসাও লাগেনি। অথচ বাংলাদেশের অন্য মানুষ ভারতে গেলে তাদের তো পাসপোর্ট-ভিসা লাগে। বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্যকে র??্যাব-পুলিশ বাংলাদেশে দুই মাস গুম করে রাখার পরে ভারতে ফেলে দিয়ে এসেছিল। সেখানে তার মামলা ফেইস করতে হয়েছে, জেল খাটতে হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ভারত আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ। সে দেশে গণতন্ত্র আছে। তারা কি করে বাংলাদেশকে এক চোখে দেখে? তারা জনগণকে অবজ্ঞা করে, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে নিয়ে অবজ্ঞা করে। তারা শুধু অতিথি হিসেবে গ্রহণ করে দুনিয়ার সবচেয়ে ঘাতক রাজনীতিবিদ শেখ হাসিনাকে।

তিনি বলেন, দুর্গাপূজার আজ দশমী, শেষ দিন। এত সুন্দর শান্তশিষ্টভাবে এসব পালিত হচ্ছে। কারণ সরকারের আন্তরিকতা ছিল এবং দেশের গণতন্ত্রমনা বিশেষ করে বিএনপি এবং অন্যান্য দলগুলো দিনরাত পাহারা দিয়েছে। অথচ পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের মিডিয়া নানা ধরনের মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। বাংলাদেশ শতাব্দীর পর শতাব্দী থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অভূতপূর্ব শান্তিপূর্ণ দেশ। শুধু এ দেশকে কলঙ্কিত করেছেন শেখ হাসিনা। সে বারবার তার এজেন্ট দিয়ে মন্দিরে হামলা করিয়েছে। আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলেছে, ভারতের নীতি-নির্ধারকরা। কারণ তাদের বাংলাদেশের জনগণের বন্ধুত্ব দরকার নেই। তাদের দরকার শেখ হাসিনার বন্ধুত্ব। তাদের দরকার ওবায়দুল কাদেরের বন্ধুত্ব। তাদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্তৃত্ব বজায় রাখতে চায়। এখন ভারতের মানুষ দেখুক বাংলাদেশের মানুষ কত শান্তিপ্রিয় গণতন্ত্রকামী। এ সময় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুল ইসলাম, স্বেচ্চাসেবক দলের নেতা ডা. জাহিদুল কবির, যুবদলের নেতা মেহেবুব মাসুম শান্তসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৯ বছর পর দেশে ফিরেছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এমএ মালিক।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত