ঢাকা ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

বারোমাসি মালটা ও কমলা চাষে চমক

বারোমাসি মালটা ও কমলা চাষে চমক

প্রায় ২০ বিঘা জমিতে রামপদ বিশ্বাস লাগিয়েছেন বারোমাসি ভিয়েতনামী মালটা ও কমলার গাছ। সারি সারি গাছে ঝুলে থাকা মালটা ও কমলা দেখে যেকোনো পথচারী থেমে যান।

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার চণ্ডীবর গ্রামের পাকা রাস্তার পাশেই রামপদ বিশ্বাসের এ বিশাল বাগান। ২০১৮ সালে তিনি প্রথমে বারী-১ মালটা ও কমলা লেবুর প্রায় ২২শ’ গাছ লাগান। কিন্তু চার বছর চাষাবাদের পরও তেমন ভালো ফলন না হওয়ায় আগের গাছ সব কেটে দিয়ে ২০২২ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে চুয়াডাঙ্গা জেলার এক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা উন্নতমানের বারোমাসি ২২শ’ চারা রোপণ করেন।

প্রতিটি চারা ৫০০ টাকা করে দাম নেয়। রোপণের ৬ মাসের মাথায় ফল ধরতে শুরু করে। দ্বিতীয় বছরেই প্রতিগাছে এক মণ থেকে দুই মণ মালটা ও কমলা ধরেছে। মালটাগুলো বাজারে বিক্রি হওয়া মালটার চেয়েও আকৃতিতে বড়।

এ ফল দু’টি উৎপাদনে জৈব সারের পাশাপাশি প্রচলিত রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি গাছে এক থেকে তিন কেজি সার ব্যবহার করা হয়েছে। মাঝেমধ্যে নানা ধরনের কীটনাশক ও ভিটামিন স্প্রে করা হয়। নিয়মতান্ত্রিকভাবে সার ব্যবহারের কারণে ফলগুলো বেশ পুষ্ট হয়েছে। ফলের বাগানটি নিয়মিত পরিচর্যার জন্য লোক নিয়োগ দেয়া রয়েছে। গ্রীষ্মকালের জন্য রয়েছে সেচের ব্যবস্থা। এই বাগান দেখতে বিভিন্ন সময়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঊর্র্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসেছেন। তারা খুশি হয়েছেন দৃষ্টিনন্দন এ বাগান দেখে।

রামপদ বিশ্বাসের ছোটভাই শিল্পপতি সুকুমার বিশ্বাস বলেন, অনেকটা সখের বসেই এ বাগানটি করা। চুয়াডাঙ্গার একজন ব্যবসায়ী সরাসরি ভিয়েতনাম থেকে এগুলো ইমপোর্ট করে। তার কাছ থেকেই চারাগুলো সংগ্রহ করা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত