পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ওপর ক্রমবর্ধমান সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আদিবাসীবিষয়ক জাতিসংঘের স্থায়ী ফোরাম ও বিশেষ দূত। গত সোমবার ফোরামের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ জানানো হয়। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন জাতিসংঘের আদিবাসীবিষয়ক স্থায়ী ফোরামের চেয়ারপারসন হিন্দৌ অউমারৌ ইব্রাহিম এবং আদিবাসীদের অধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত হোসে ফ্রান্সিসকো কালি তাজায়।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থায়ী ফোরামের অধিবেশনগুলোতে পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্ম জনগোষ্ঠী ও বাঙালিদের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের উদ্বেগজনক ঘটনার মধ্য দিয়ে এই উত্তেজনা চূড়ান্ত রূপ ধারণ করেছে। সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনাগুলো জুম্ম জনগোষ্ঠীর দীর্ঘদিন ধরে চলা বৈষম্য ও প্রান্তিককরণের প্রেক্ষাপটে ঘটছে, যারা কয়েক দশক ধরে জোরপূর্বক উচ্ছেদ এবং অঞ্চলে সামরিকীকরণের শিকার।
জুম্ম জনগণের ওপর সহিংস ও নির্বিচার আক্রমণ বন্ধে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বিবৃতিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধে সহিংসতার অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি নিরপেক্ষ কমিশন গঠন এবং অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে আহ্বান জানিয়েছেন স্থায়ী ফোরামের চেয়ারম্যান ও বিশেষ দূত।
বিবৃতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ১৯৯৭ সালের শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে। ওই চুক্তিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন এবং আদিবাসীদের অধিকার বিষয়ে জাতিসংঘের ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়। স্থায়ী ফোরাম ও বিশেষ দূত পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে আস্থা ও পুনর্মিলন প্রতিষ্ঠার জন্য পরামর্শ প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে সহিংসতা প্রতিরোধে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।