ভালো দাম পেয়ে লাভবান হওয়ার আশায় আগাম জাতের আলু আবাদের জন্য আলু বীজ রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের কৃষকরা চলতি মৌসুমে আগাম জাতের আলু আবাদের জন্য জমিতে আলু বীজ রোপণ করার কাজে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন। এবছর হাটে-বাজারে আলুর দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকায় আড়তদার ও ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি কৃষকরাও ভালো দাম পেয়েছেন। যদিও কোল্ডস্টোরেজের আলু সংরক্ষণের চার্জ বাড়িয়ে দেন হিমাগার কর্তৃপক্ষ। কাহারোল উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ৫৫০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। লাভবান হওয়ার আশায় এবার কৃষকদের মধ্যে আগাম জাতের আলু চাষের আগ্রহ যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে জমি প্রস্তুত করার কাজ। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কৃষি শ্রমিকদের নিয়ে বীজ রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের কাজী কাটিনা গ্রামের কৃষক আহসান আলী ও শাহজাহান আলী বলেন যে, আগাম জাতের আলুর বীজ রোপণে কৃষক শ্রমিকদের নিয়ে তারা জমিতে সকাল-সন্ধ্যা ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন। একই গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম ৫০ শতক জমিতে আগাম জাতের আলুর বীজ রোপণের কাজ করছেন। কৃষকরা অভিযোগ করেন যে, গতবারের চাইতে এবার আলু বীজের দাম বেশি, বিভিন্ন আড়তে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে আলুর বীজ কিনতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মল্লিকা রানী জানান, আগাম জাতের আলু আবাদের জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করায় তারা আবাদের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, বর্তমানে আবহাওয়া পুরোপুরি অনুকূল থাকায় বীজ রোপণে কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষকদের সকল প্রকার পরামর্শ ও সহযোগিতা দেয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, এর ফলে আগাম জাতের আলু চাষে ফলন আশানুরূপ হবে।