‘সরকারি হাসপাতালে ইনজেকশনের পর অসুস্থ ৩০ রোগী’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমোটো) গ্রহণ করে সংশ্লিষ্টদের আগামী ২৭ নভেম্বর মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন। গতকাল বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং এতে চিকিৎসাসেবা প্রার্থীদের মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, রোগীর সেবায় ব্যবহৃত ওই ইনজেকশনগুলোতে ত্রুটি বা মেয়াদ উর্ত্তীণ ছিল কি-না কিংবা প্রয়োগের ক্ষেত্রে যথাযথ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে কী না তা খতিয়ে দেখা আবশ্যক। স্বাস্থ্যখাতে এ ধরনের ঘটনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সুয়োমটোতে উল্লেখ রয়েছে, শেরপুর সদর হাসপাতালে বিভিন্ন রোগের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের ইনজেকশন দেয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ রোগী অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও রোগীর স্বজনরা জানান। গত ১৩ অক্টোবর রাত একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বর্ণিত প্রেক্ষাপটে কমিশন আদেশ করে যে, এ ঘটনায় অসুস্থদের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকি নির্ণয়সহ সুষ্ঠু-তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার যথাযথ কারণ উল্লেখ করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিভিল সার্জন, শেরপুরকে বলা হোক। আদেশের অনুলিপি জ্ঞাতার্থে সিনিয়র সচিব, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসক, শেরপুর বরাবর পাঠানো হয়েছে। আগামী ২৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদনের জন্য ধার্য করা হয়েছে।