‘বাড়ির কাছে আরশিনগর, সেথা এক পড়শি বসত করে’ এই স্লোগানে আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী বাউল সম্রাট মরমী সাধক ফকির লালন সাঁইয়ের ১৩৪তম তিরোধান (মৃত্যুবার্ষিকী) দিবসের অনুষ্ঠানমালা ও লালন মেলা।
এ উপলক্ষে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় সাঁইজির বারাম খানার আখড়া বাড়িতে মানুষ রতনের ভিড় বাড়ছে।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কুষ্টিয়া লালন একাডেমির আয়োজনে তিরোধান দিবস পালন উপলক্ষ্যে আখড়া বাড়িতে সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। মানবতার দিক্ষা নিতে এরই মধ্যেই আত্মার টানে দেশ-বিদেশের সাধুগুরু ও ভক্তরা দলে দলে এসে আসন গেড়েছে সাঁইজির মাজারে। প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী এবারই তিনদিনের এ উৎসব পালিত হচ্ছে। বিগত কয়েক বছর ধরে তা বাড়িয়ে পাঁচদিনের প্রথা চালু করা হয়েছিল।
আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হোক আমাদের দিন বদলের অনুপ্রেরণা এই মূলমন্ত্র বাস্তবায়িত করতে বাউল সম্রাটের ১৩৪ তম তিরোধান দিবসের অনুষ্ঠানমালাকে সাজানো হয়েছে ৩ দিনব্যাপী।
মূল উৎসব শুরু হওয়ার ৫-৬ দিন আগ থেকে আখড়ায় আসা বাউল সাধকরা মাজারের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে গেয়ে চলেছে সাঁইজির আধ্যাত্মিক মর্মবাণী ও ভেদ তথ্যের গান। জমজমাট এখন লালন শাহের আখড়া বাড়ি। কুষ্টিয়া পরিণত হয়েছে উৎসবের শহরে। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) শারমিন আখতারের সভাপতিত্বে বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের ৩ দিনব্যাপী তিরোধান দিবসের (মৃত্যুবার্ষিকী) উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার। ২য় দিনে প্রধান অতিথি ও মুখ্য আলোচক থাকবেন, কবি ও চিন্তক ফরহাদ মাজহার। ৩য় ও সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি থাকবেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরীফ।
সুষ্ঠুভাবে আয়োজনসম্পন্ন করতে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশের পাশাপাশি অনুষ্ঠানস্থলে থাকবে র্যাব ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ।