পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১০ কর্মকর্তার নামে মামলা এবং চাকরি থেকে স্থায়ী অপসারণের প্রতিবাদে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি জানিয়েছে ‘পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন’। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা না হলে দেশজুড়ে ব্ল্যাক-আউটের হুমকি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ আলটিমেটাম দেয় তারা। বার্তায় বলা হয়, চলতি বছরের শুরু থেকে আরইবি-পবিস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং সকল চুক্তিভিত্তিক/অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের ২ দফা দাবি আদায়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলন চলমান। আন্দোলনের যৌক্তিকতা উপলব্ধি করে বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক পল্লী বিদ্যুৎ সিস্টেম তথা আরইবি সংস্কার সময়ের দাবি হিসেবে উল্লেখপূর্বক সংস্কারসহ অন্যান্য সমস্যার যৌক্তিক সমাধানের জন্য গত ১ আগস্ট ১৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয় এবং ইতোপূর্বে ওই কমিটির ৪টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত এবং দফায় দফায় সভা অনুষ্ঠিত হলেও সরকারের সংস্কার উদ্যোগে আরইবির প্রত্যক্ষ অসহযোগিতার কারণে কমিটি চূড়ান্ত সুপারিশ প্রণয়ন করতে সক্ষম হয়নি।
বার্তায় আরো বলা হয়, গণস্বাক্ষরসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দাবি উপস্থাপন, গ্রাহকসেবা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রেখে গত মে মাসে ৫ দিন এবং জুলাই মাসে ১০ দিন কর্মবিরতি, আগস্টে লং মার্চ টু আরইবি, ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটামে গণছুটি ঘোষণার পর জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনায় কর্মসূচি প্রত্যাহার, সারা দেশে একযোগে ডিসি অফিস ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিতকরণের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টা বরাবর একাধিকবার স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করা হয়।
চলমান প্রেক্ষাপটে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের, ১৭ অক্টোবর তারিখে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার এবং ১০ জন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। এ অবস্থায়, দায়িত্ব গ্রহণের পর একটি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন না করে আরইবির পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে দেশের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে ভুল তথ্য উপস্থাপন এবং সেনাবাহিনীর ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে অস্থিতিশীল করার প্রত্যক্ষ মদদের কারণে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ ও সমিতির কর্মকর্তাদের চাকরি অবসানের আদেশ ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণাপূর্বক ২ দফা দাবি আদায়ে ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ঢাকা অভিমুখে লং মার্চ করতে বাধ্য হবে।