সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও তার স্ত্রী দিলশাদ নাহার কাকলির বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন। গতকাল দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাকারিয়া তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।
আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার করে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও দুবাইয়ে ব্যবসা পরিচালনা ও বাড়ি ক্রয়ের অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে।
অনুসন্ধানকালে অভিযোগ সংশ্লেষে রেকর্ডপত্র/তথ্যাদি সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা দেশত্যাগের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশগমন রহিতকরণ প্রয়োজন।
সাবেক এই সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি ২০১২ সাল থেকে চার বছর বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির নেতৃত্ব দেন। তার ভাই শীর্ষ সন্ত্রাসী হারিস ও জোসেফের নাম বদলে পাসপোর্ট করার বিষয়ে আজিজ আহমেদের সহযোগিতা ছিল বলে অভিযোগ আছে। এছাড়া তার কারণেই জোসেফের সাজা মওকুফ করা হয়েছে- এমন আলোচনাও আছে।
আজিজ আহমেদ ২০২১ সালের ২৩ জুন অবসরে যান। অবসরে যাওয়ার প্রায় তিন বছর পর দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন না।