বগুড়া জেলার কৃষকরা রকমারি শাকসবজি চাষের পাশাপাশি বড় একটা অংশজুড়ে হলুদের চাষ করে লাভবান হচ্ছে। এ চাষে স্বপ্ন বুনছেন তারা। মসলা জাতীয় ফসলের মাঝে হলুদ অন্যতম। বিয়ে বাড়ি, সাজগোজ কিংবা রান্না সব ক্ষেত্রেই হলুদের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। খরচের তুলনায় লাভ দ্বিগুণ, চাষ করা যায় অন্য ফসলের সঙ্গে। হলুদ খেতে রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ তেমন একটা হয় না। আর এ কারণে বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে হলুদ চাষ। বগুড়া জেলায় হলুদ চাষ করে বদলে যাচ্ছে কৃষকের ভাগ্য। সমতল ও চরাঞ্চল এলাকায় এ বছর ব্যাপক হলুদের চাষাবাদ হয়েছে।
হলুদ চাষি দবির উদ্দিন বলেন, আমি এ বছর ৬২ শতক জমিতে হলুদ চাষ করেছি। সবমিলিয়ে আমার ৩০ হাজার টাকা খরচ হবে। ফলন ভালো হলে অন্তত ৫০-৬০ হাজার টাকা মুনাফা পাবো। হলুদ চাষ করে আজ আমি স্বাবলম্বী। হলুদ চাষে অপেক্ষাকৃত খরচ কম আবার মুনাফা বেশি। বিস্তীর্ণ প্রান্তরজুড়ে শুধু হলুদ গাছ। খেতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। মরিচের জমিতে অথবা মাচার ফসলের নিচে হলুদ চাষ করা হয় বলে আমাদের হলুদ চাষে বাড়তি জমি বা খরচের দরকার হয় না।
শুধু রান্না নয়, ওষুধ শিল্পেও হলুদের ব্যবহার হয়ে থাকে। আমাদের দেশে উৎপাদিত এ মসলা ফসলের খাতটি এখনো আমদানিনির্ভর। হলুদের আমদানি নির্ভরতা কমাতে এর আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির বিকল্প কিছু নেই। বগুড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষকরা লাভবান হওয়ায় হলুদ চাষে ঝুঁকছে। এটি উষ্ণ, অর্ধউষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ুর উপযোগী ফসল। বাংলার ফাল্গুন থেকে চৈত্র মাসে হলুদের বীজ বপন করা হয়। অন্যান্য ফসলসহ মসলাজাতীয় ফসল হলুদ চাষ করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে হলুদ চাষিরা। হলুদ চাষে স্বল্প খরচে লাভ হয় বেশি। হলুদ রোপণ শেষে অন্তত আট মাস অপেক্ষা করতে হয়। এ আট মাস খেতে নিবিড় পরিচর্যা করলে ভালো ফলন হবে।