বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ৭ই মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার দিন নয়। এ দিন নিয়ে কেউ বাড়াবাড়ি করবেন না। দলীয় নেতাকর্মীদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন এলাকায় জেলা বিএনপির আয়োজিত সম্প্রীতির সমাবেশের ভেঙে যাওয়া মঞ্চের স্থান থেকে প্রধান অতিথির সংক্ষিপ্ত বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। তিনি হ্যান্ড মাইকে আরো বলেন, নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। আওয়ামী লীগের মতো আমাদের ভুল করা যাবে না। এ জন্য দলীয় কর্মকাণ্ড শক্তিশালী করতে নেতাকর্মীদের মাঠে নামতে হবে। আগামী নির্বাচন উপলক্ষে যার যার অবস্থান থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে। একটি দল আমাদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ষড়যন্ত্র করছে। সেই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যে কোনো মূল্য রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রায় ২ বছর পর জনস্থান সিরাজগঞ্জের মাটিতে এসেছি। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশের বাইরে ছিলাম। নেতাকর্মীরাও অনেক জেল জুলুম ও ত্যাগ শিকার করেছেন। স্বৈরাচার সরকারের নির্যাতন ইতিহাসে স্বাক্ষী হয়ে থাকবে। আজ সিরাজগঞ্জবাসীর মধ্যে যে আনন্দের সৃষ্টি হয়েছে, এতে আমার মন ভরে গেছে। তিনি প্রশাসনের উদ্দেশ্য আরো বলেন, জনসাধারণের সাথে আপনাদের অটুট বন্ধন তৈরি করতে হবে। তারা যেন ন্যায় বিচারের আশ্বাস পান। এ জন্য আপনাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। ছাত্র-জনতা আন্দোলনে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত যুবলীগ নেতা রঞ্জুর স্মরণে বাজার স্টেশন থেকে নির্মিত সড়ক রঞ্জু সড়ক হিসেবে ঘোষণা করেন তিনি। জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুর সঞ্চালনায় এ বিশাল সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমিরুল ইসলাম আলিম, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান লেবু, নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান প্রমুখ।
এরআগে জেলা উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুনীতে আয়োজিত এ সম্প্রীতির সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। এদিকে সম্প্রীতির সমাবেশে মঞ্চ ভেঙে আহত ২৬ জন। বিএনপি নেতা আমিরুল ইসলাম আলিম বক্তব্যকালে (বিকাল পৌনে ৫ টার দিকে) সম্প্রীতির সমাবেশের মঞ্চটি ভেঙে পড়ে। এতে একজন সাবেক এমপিসহ কমপক্ষে ২৬ নেতাকর্মী কমবেশি আহত হয়েছেন।
সমাবেশের প্রধান অতিথি মঞ্চে আসন গ্রহণের আগে ও পরে ওই মঞ্চে অতিরিক্ত নেতাকর্মীদের অবস্থান না করার জন্য সতর্ক করা হয়েছিল।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান বাচ্চুসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী এ সতর্ক করেও ব্যর্থ হন। অবশেষে ওই মঞ্চে প্রায় ৪ গুণ নেতাকর্মী অবস্থান করছিল।
তারা ভিডিওসহ সেলফি তুলছিল এবং একপর্যায়ে ওই মঞ্চটি ভেঙে পড়ে যায়। এতে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তবে এ দুর্ঘটনার পর প্রধান অতিথি হ্যান্ডমাইকে সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।