ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কম্পিউটার ভালো রাখতে

কম্পিউটার ভালো রাখতে

অফিস, শিক্ষাক্ষেত্রে এমনকি ব্যবসায়িক কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ল্যাপটপ, ডেস্কটপ কম্পিউটার দৈনন্দিন জীবনে নিত্যপ্রয়োজনীয় ডিভাইস হয়ে উঠেছে। তাই নিয়মিত কম্পিউটার ব্যবহারে কোনো না কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য আসলে টেক প্রফেশনাল হওয়ার প্রয়োজন নেই। কম্পিউটার ভালো রাখতে কিছু উপায় মেনে চললে কম্পিউটার ভালো রাখা সম্ভব।

অপারেটিং সিস্টেম এবং সফটওয়্যার : কম্পিউটার মসৃণভাবে ব্যবহারের জন্য প্রথমত হার্ডডিস্কের সি ড্রাইভ কিংবা সম্পূর্ণ হার্ডডিস্ক ফরম্যাট করে ইউএসবি কিংবা সিডি ড্রাইভারের মাধ্যমে অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করতে হবে। প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারের বাইরে অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইন্সটল করা থেকে বিরত থাকতে হবে। পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইন্সটল থাকলে তা ডিলিট করে দেয়ায় উত্তম। কারণ, অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ব্যাকঅ্যান্ড এ রান থাকা অবস্থায় র‌্যাম ব্যবহার করে কম্পিউটার ইউজার এক্সপিরিয়েন্সের ওপর বাজে ইফেক্ট ফেলে। তা ছাড়া, আপনি যদি লিনাক্স, ম্যাকওএস এর বিপরীতে উইন্ডোজ ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার থেকে নিরাপদ থাকতে সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার : কম্পিউটার টেকসই এবং দীর্ঘস্থায়ীভাবে গতিশীল ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাহিদা অনুযায়ী সঠিক কনফিগারেশন নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে প্রসেসর, র‌্যাম, হার্ডডিস্ক কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের অন্যতম পার্টস। আপনি যদি মাইক্রোসফট রিলেটেড কাজ এবং মাল্টিমিডিয়া কাজের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করতে চান সেক্ষেত্রে ২-৪ জিবি, এএমডি কিংবা ইন্টেলের ডুয়েল কোর প্রসেসর, বা ইন্টেল কোর আই ৩ প্রসেসর এবং এইচডিডি হার্ডডিস্ক ব্যবহার করতে পারেন। বিপরীতে আপনি যদি গেমিং, ডিজাইনিং কিংবা ভিডিও এডিটিং এর কাজ করতে চান সেক্ষেত্রে ইন্টেল কোর আই ৫ বা ইন্টেল কোর আই ৭ প্রসেসর, ৮জিবি বা ১৬ জিবি র‌্যাম, সর্বনিম্ন ২৫৬ জিবি এসএসডি এবং গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহারে আপনি ল্যাগমুক্ত অবস্থায় গেমিং এবং এডিটিং-এর কাজ করতে পারবেন নিশ্চিন্তে।

হার্ডওয়্যার রক্ষণাবেক্ষণ : শুধুমাত্র কনফিগারেশনের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে ফিজিক্যালি ধুলোবালি কিংবা অন্যান্য ময়লা থেকে আপনার কম্পিউটার নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। কারণ ধুলোবালি আপনার ল্যাপটপ এবং ডেস্কটপ কম্পিউটারে ফ্যানের স্বাভাবিক বাতাস সঞ্চালন আটকে দিয়ে হার্ডওয়্যার ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। পাশাপাশি কম্পিউটারও অতিরিক্ত গরম হয়ে হার্ডওয়্যার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই, মাঝে মাঝে কুলিং ফ্যান এবং র‌্যাম পরিষ্কার করা উত্তম, যা আপনার কম্পিউটার শীতল এবং দক্ষতার সঙ্গে অপারেট করতে সহায়ক হবে।

ডিস্ক ক্লিনআপ এবং ডিফ্র্যাগমেন্টেশন : নিয়মিত কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো ক্যাশ আকারে আপনার হার্ড ড্রাইভে জমা হয়, যা আপনার কম্পিউটারকে স্লো করে দেয়। অস্থায়ী ফাইল, সিস্টেম ক্যাশ এবং অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় ডেটা রিমুভ করার জন্য এসএসডি ড্রাইভে ডিস্ক ক্লিনআপের মতো বিল্ট-ইন টুল ব্যবহার করে ক্লিন করতে পারেন। এছাড়াও, আপনি যদি এইচডিডি ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে ডিফ্র্যাগমেন্টেশন করে রিড/রাইট স্পিড বাড়াতে পারে। তা ছাড়া, আপনি আপনার কমান্ড প্রোম্পট থেকে টেম্পোরারি ফাইল, সিস্টেম ক্যাশ ইত্যাদি কমান্ড টাইপ করে রিমুভ করতে পারেন।

স্টার্টআপ প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রণ : কম্পিউটার চালু করার সময় স্টার্টআপে বেশিরভাগ প্রোগ্রাম ওপেন হয়ে আপনার কম্পিউটার অনেকাংশে স্লো করে ফেলে। তাই, স্টার্টআপ প্রোগ্রামগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সিস্টেম সেটিংস থেকে অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম ডিজেবল করতে হবে। তাহলে, পরবর্তী স্টার্টআপে আপনি দ্রুত সময়ে ওএস চালু হবে এবং সামগ্রিক সিস্টেমে উন্নত কর্মক্ষমতা পাবেন। তাছাড়া, কম্পিউটারে নিয়মিত আপডেট বন্ধ রাখতে হবে, পাশাপাশি থিম হিসেবে অ্যানিমেশন কিংবা ভিজ্যুয়াল এফেক্ট সেট করা থেকে বিরত থাকাই উচিত, যা আপনার কম্পিউটারকে দ্রুত সময়ে ওপেন হতে সহায়তা করবে

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত