সুসংবাদ প্রতিদিন
লাউ চাষে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
এএইচএম আরিফ, কুষ্টিয়া
সবজি চাষ করে শুধু সফল চাষিই নয়, দারিদ্র্যকেও জয় করেছেন সৈয়দ আলী। বাবার কাছ থেকে পাওয়া সামান্য জমির আয় দিয়েই তিনি এখন মালিক হয়েছেন ৫ বিঘা জমির। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের বলিদাপাড়া গ্রামের সৈয়দ আলী।
তিনি জানান, ইউপি সদস্য থাকাকালীন সময়ে নিজের সামান্য জমিতে প্রথমে লাউ চাষ শুরু করি ৫ বছর আগে। এতে ভালো লাভ হয়। এরপর ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, মরিচ, পেঁপে, ঢ্যাঁরসসহ নানা ধরনের শাক-সবজি চাষ করতে থাকি। এখান থেকে সবজি চাষের নেশায় পড়ে যাই। নিজের সামান্য জমির সঙ্গে বর্গা জমিতে সবজি চাষ শুরু করি। যে মৌসুমে যে সবজির চাষ হয় সেটি করে থাকি। বর্তমানে ২০ শতাংশ জমির অর্ধেকে কাঁচামরিচ, দেড় বিঘা জমিতে বেগুন, ১০ কাঠা জমিতে শসা এবং দেড় বিঘা জমিতে লাউ চাষ করেছেন। এক বিঘা জমিতে ৭ হাজার টাকা খারচ করেছেন লাউচাষে। বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় ইতোমধ্যে ৩০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন বলে জানান সৈয়দ আলী। তিনি একদিন পর পর একশ’ এর কিছু বেশি লাউ বাজারে বিক্রি করেন। পাইকারি হিসেবে প্রতিটি লাউ বিক্রি হয় ২৫ থেকে ৩০ টাকা সাইজ অনুযায়ী। সামনের একমাসে আরো কয়েক হাজার লাউ বিক্রি করবেন বলে আশা করেছেন তিনি। লাউ চাষে খরচ কম হওয়ায় লাভ বেশি হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লা আল মামুনের সার্বিক নির্দেশনায় এবং ইউনিয়ন কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মাহিরুল ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে এলাকার একজন সফল সবজি চাষির খেতাব অর্জন করেছেন ইতোমধ্যে। কৃষি কর্মকর্তারা বিভিন্ন উপকরণ, পরামর্শসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান বলেন, কুষ্টিয়ায় ব্যাপক সবজির চাষ হয়ে থাকে। গুণাগুণ বিবেচনায় মাটি সবজি চাষের উপযোগী হওয়ায় উৎপাদনও ভালো হয়। সবজি চাষে কৃষক পর্যায়ে উদ্বুদ্ধকরণের জন্য সরকারিভাবে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।