চলতি বছরে চতুর্থ চালানে ভারত থেকে ডিম আসলো ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস। গত শনিবার রাতে ভারতীয় একটি ট্রাকে এই ডিম আমদানি হয়। গতকাল রোববার দুপুরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডিমের চালানটি খালাসের প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শেখ জাহিদুর রহমান। তিনি বলেন, ডিম পর্যায়ক্রমে আরো আসবে ৪০ লাখ। এছাড়া আরো পাচটি আমদানি কারক প্রতিষ্ঠানকে ৪ কোটি ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে ব্যাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, প্রতি ডজন ডিমের ইনভয়েস মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ সরকারি রাজস্ব কমিয়ে ১৩ শতাংশ সরকারি রাজস্ব করা হয়েছে। প্রতিপিস ডিমের শুল্ক মূল্য ১ টাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে দশমিক ৭৫ পয়সা আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে।
কাস্টমস সূত্র জানায়, এক হাজার ১০৪ বক্স ডিম নিয়ে একটি ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। প্রতি বক্সে ২১০টি করে ডিম রয়েছে। আমদানি করা এসব ডিমের মূল্য ৯ হাজার ৯৬৯ মার্কিন ডলার। প্রতি ডজন ডিমের আমদানি মূল্য শূন্য দশমিক ৫৮ ডলার, বাংলাদেশি টাকায় প্রতিটি ডিমের মূল্য পড়ে ৫ টাকা ৭০ পয়সা। প্রতি ডজন ডিমের ইনভয়েস মূল্যের ওপর ১৩ শতাংশ সরকারি রাজস্ব পরিশোধ করে ও সকল খরচ মিলিয়ে প্রতিটি ডিমের মোট মূল্য দাঁড়ায় ৬ টাকা ৫০ পয়সা।
ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রো ল্যান্ড সলুশন ভারত থেকে ৪টি চালানে ৯ লাখ ২৭ হাজার ৩৬০ পিস ডিম আমদানি হয়েছে। ডিমের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কোলকাতার শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ ভান্ডার। আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি খালাসের জন্য কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দাখিল করেছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনাল। উপ-পরিচালক ট্রাফিক, বেনাপোল স্থলবন্দরের রাশেদুল সজিব নাজির জানান, গতকাল মধ্য রাতে চতুর্থ চালানে বেনাপোল বন্দরে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস এসেছে। সিএন্ডএফ এর সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর ২০ তারিখ সন্ধ্যার ভিতর ডিমগুলো বেনাপোল বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে চলে যাবে।