ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

লাভ গুনছেন আগাম শিমচাষিরা

লাভ গুনছেন আগাম শিমচাষিরা

মেহেরপুরে বেশ কয়েক বছর থেকে আগাম শিমের চাষ করছেন কৃষকরা। শীত আসার আগেই এসব শিম বাজারে উঠতে শুরু করে। এ বছরও বাজারে শিম বিক্রি শুরু হয়েছে ২০-২৫ দিন আগে থেকেই। চাহিদার তুলনাই উৎপাদন কম হওয়ায় সবজির বাজার চড়া। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে। জেলার বাইরে সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দামও বাড়ছে। এ বছর বন্যাকবলিত এলাকার সবজি নষ্ট হওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা মেহেরপুরের বাজারে সবজি কিনতে ভিড় করছে। যার কারণে সবজির দাম বেশি বলে জানান সবজির কমিশন আড়তদাররা। কৃষি বিভাগের হিসেবে এবার জেলায় ৩৭০ হেক্টর জমিতে আগাম শিম চাষ হয়েছে। সদর উপজেলার নতুন দরবেশপুর গ্রামের কৃষক আবদাল হোসেন বলেন, এবছর অতিবৃষ্টির কারণে শিমের গাছ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও জমির পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় এখন ফুল ফল যথেষ্ট পরিমাণে দেখা যাচ্ছে। প্রায় ২০-২৫ দিন আগে থেকেই মেহেরপুরের বাজারে শিম বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে এবার অতিমাত্রায় ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করতে হয়েছে। একই গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির কারণে গাছ কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। এখন ছত্রাকনাশক, সুষম সার প্রয়োগ ও প্রয়োজনীয় পরিচর্যায় শিমের ফলন খুব ভালো হচ্ছে। দুই থেকে আড়াই মণ পর্যন্ত শিম উত্তোলন ও বাজারজাত করা চলবে। কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়ায় অনেকেই অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে। আমদহ গ্রামের কৃষক আবেদ আলী বলেন, এক বিঘা জমিতে শিম চাষে খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। বর্তমানে শিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। দাম ভালো থাকায় খরচ বাদে লাখ টাকা ঘরে আসবে বলে আশা করছেন তিনি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মেহেরপুরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, আগাম শিম চাষ মেহেরপুর জেলায় বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। জেলায় বিস্কুট জাতের শিম চাষ বেশি হয়ে থাকে। চাষিদের পরিমিত কীটনাশক ও ছাত্রাকনাশক প্রয়োগ করে শিম চাষের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এসময় সবজির দাম ও চাহিদা বেশি থাকায় সব ধরনের সবজি চাষে কৃষিবিভাগ সহায়তা প্রদান করছে। এবছর শিমের উৎপাদন ও দাম ভালো পাওয়ায় আগামীতে শিম চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত