সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ২০১৮ সালের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও পরবর্তীতে সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষার্থে তরুণ সমাজের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ আমাদেরকে নতুন করে পথ দেখিয়েছে। এ সময় তিনি তরুণদের নির্দেশনা নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে সহায়ক হবে বলেও মন্তব্য করেন। ‘ছাত্র-জনতার অঙ্গীকার, নিরাপদ সড়ক হোক সবার’ প্রতিবাদ্য বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
সড়ক দুর্ঘটনাকে কেবল পরিসংখ্যানের মাধ্যমে তুলনা না করে মানবিক দৃষ্টিকোণ দিয়ে দেখার আহবান জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা বলেন, সব মৃত্যুই বেদনার। কোন মৃত্যুই ক্ষতিপূরণ দিয়ে মাপা যায় না। তাই নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে পরিবহন মালিক, শ্রমিক, যাত্রী, পথচারী নির্বিশেষে সবার এ সংক্রান্ত আইন ও বিধি বিধান জানা ও মেনে চলা দরকার। এ সময় নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকল্পে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি নিরাপদ সড়ক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ও যানজট নিরসনে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
আলোচনা সভার সভাপতি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক তার বক্তব্যে অনুষ্ঠানে আগত সব অতিথিদেরকে ধন্যবাদ জানান এবং সবাই মিলে নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলবো এই আশাবাদ ব্যক্ত করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) মো. ইয়াসীন, পরিবহন মালিক সমিতি এবং শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি, ছাত্র-জনতার প্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।