আপেল খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। গতকাল পালিত হয়েছে আপেল দিবস। আপেল দিবস যুক্তরাষ্ট্রে পালন করা হলেও এই দিবসের শিকড় ইউরোপে। ১৯৯০ সালের ২১ অক্টোবর যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা কমন গ্রাউন্ড আপেলের বিভিন্ন প্রজাতির গুরুত্ব বোঝাতে দিবসটির প্রচলন করেছিল। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে আপেল দিবস পালন করা হয়। আপেল এমন একটি ফল, যা বছরের বেশিরভাগ সময়েই বাজারে পাওয়া যায়। আপেল একটি অনন্য পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ফল। আপেল ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হার্টের রোগসহ বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়া আপনি যদি আপনার ওজন ও মস্তিষ্কের উন্নতি চান, তাহলে আপেল খেতে পারেন। নিয়মিত আপেল খেলে মস্তিষ্কের নিউরনগুলো কর্মক্ষম থাকে। একটি ২০০ গ্রাম আপেলে আছে ১০৪ ক্যালোরি, ২৮ গ্রাম কার্ব, ৫ গ্রাম ফাইবারসহ ভিটামিন সি, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন কে। এছাড়া আছে ম্যাংগানিজ, কপার, ভিটামিন বি১, বি২, বি৬, ভিটামিন এ এবং ই।
আসুন জেনে নি আপেলের বিভিন্ন উপকারের কথা:
১. আপেল ফাইবার ও ভিটামিন সির ভালো উৎস। এছাড়া আপেল অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ ফল। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
২. আপেলে উচ্চ ফাইবার ও পানি থাকে। ফলে পেটের গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর হয়।
৩. ওজন কমাতে সহায়তা করে আপেল। কয়েক টুকরো আপেল খেলে দীর্ঘক্ষণ আপনার পেট ভরা থাকবে।
৪. আপেল হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। আপেলে থাকা ফাইবার, কোলেস্টেরল কমায়।
৫. আপেল পলিফেনলসমৃদ্ধ খাবার। যা রক্তচাপ ও স্টোকের সমস্যা কমায়।
৬. অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উপর আপনার শরীরের সুস্থতা অনেকাংশে নির্ভর করে। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখার কার্যকর উপাদান হলো পেকটিন, যে উপাদান আপেলের মধ্যে থাকে।
৭. ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় আপেল। প্রতি সপ্তাহে কিছু আপেল খাওয়া হলে তা ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে উপকার বয়ে আনে।
৮. আপেল দাঁতের হলদেটে ভাব দূর করে। আপেল খেলে দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাদ্যকণা দূর হয়।
৯. তবে, আপেল খাওয়ার পর ত্বকে কোনো সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।