প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে, হলুদ হলো একটি মহৌষধি। ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী রোগ দূর করতে কাজ করে হলুদ। রান্নায় হলুদ ব্যবহার করলে কিন্তু এর উপকার মিলবে এমন নয়। প্রতিদিন সকালে এক টুকরো কাঁচা হলুদ খাওয়ার ফলে ছোট-বড় অসুখের আশঙ্কা কমবে।
চলুন কাঁচা হলুদ খাওয়ার কিছু উপকার সম্পর্কে জেনে নেই-
প্রদাহ থেকে মুক্তি মেলে : প্রদাহের মতো জটিল সমস্যার বিরুদ্ধে প্রথমেই ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তী সময়ে তা ভয়ানক হতে সময় লাগবে না। এমনকি এ কারণে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে একাধিক ক্রনিক রোগ। তাই চিকিৎসকরা প্রদাহ প্রশমিত করতে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। গবেষণায় দেখা গেছে, কাঁচা হলুদের মূল উপাদান কারকিউমিন, যা প্রদাহ প্রশমিত করার কাজে ভীষণ উপকারী।
?ক্ষতিকর পদার্থ বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে : বিপাকের পরে আমাদের শরীরে তৈরি হয় একাধিক ক্ষতিকর পদার্থ। আর এই পদার্থগুলো শরীর থেকে বেরিয়ে না যেতে পারলে একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কাঁচা হলুদ শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কাটানোর কাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এই প্রাকৃতিক উপাদান রোজ এক টুকরো খেয়ে নিলেই ক্ষতিকর ফ্রি ব্যাডিকেলস নিউট্রিলাইজ করা সম্ভব হবে। তাই সুস্থ থাকতে কাল থেকেই কাঁচা হলুদ খান।
?হার্টের হাল ফিরবে? : এখন তো কম বয়সেই অনেকে হার্টের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। তাই চিকিৎসকরা সবাইকে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। আপনার হাতের কাছে উপস্থিত এক টুকরো কাঁচা হলুদই হার্টের খেয়াল রাখার কাজে একাই একশ’।
এতে উপস্থিত কারকিউমিন নামক উপাদান হার্টের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পারে। তাই হার্ট অ্যাটাকের ফাঁদ এড়াতে চাইলে প্রতিদিন সকালে কাঁচা হলুদ খাওয়া আবশ্যক।
?ক্যান্সার প্রতিরোধে? সাহায্য করে : ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী একটি রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে কাঁচা হলুদ। কাঁচা হলুদে এমন কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ক্যান্সার সেলের বৃদ্ধি আটকে দিতে পারে। তাই এই মারণরোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচতে কাঁচা হলুদ খাওয়ার অভ্যাস করুন।
আলঝেইমার প্রতিরোধ করে : আলঝেইমার একটি জটিল অসুখ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। তিনি সব কিছু ভুলতে শুরু করেন। এই জটিল অসুখ প্রতিরোধের কাজেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কাঁচা হলুদ। তাই প্রতিদিন কাঁচা হলুদ খাওয়ার অভ্যাস করুন।