সম্প্রতি নতুন এক ম্যাক মিনি উন্মোচন করেছে অ্যাপল, যেটি এর পূর্বসূরীর আকারের মাত্র অর্ধেক ও কোম্পানিটির সবচেয়ে ছোট কম্পিউটার। নতুন ম্যাক মিনির আকার কেবল পাঁচ বাই পাঁচ ইঞ্চি হবে বলে জানিয়েছে অ্যাপল। এটি চলবে কোম্পানিটির সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া এম৪ চিপের পাশাপাশি এম৪ প্রো চিপেও। অ্যাপলের হার্ডওয়্যার প্রধান জন টার্নাস বলেন, ‘অ্যাপল সিলিকন বা চিপের শক্তি সক্ষমতা ও উদ্ভাবনী এক নতুন থার্মাল আর্কিটেকচারের কারণে এটি বিস্ময়করভাবে ছোট নকশায় অনেক ভাল পারফরম্যান্স দেবে।’ অ্যাপল বলেছে, অ্যাপলের ম্যাক মিনিই প্রথম কোনো পণ্য, যা উৎপাদনে কার্বন নির্গমন শূন্য। কেবল উৎপাদন নয়, বরং শিপিং এবং ব্যবহারের পরও এর থেকে কার্বন নির্গমন ৮০ শতাংশ পযন্ত কমিয়ে আনা সম্ভব বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট। ২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো ম্যাক মিনি বাজারে আনে অ্যাপল। তারপর কোম্পানিটি ডিসপ্লে, কিবোর্ড ও মাউসসহ বাজারে আনে একটি অ্যাপল কম্পিউটার। পিসির ব্যবহার কমিয়ে আনতে অ্যাপল এটিকে বাজারে আনে। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে ছোট হতে থাকে এই সিরিজের কম্পিউটার। তবে কিছু সময় উপেক্ষিতও হয়েছে এটি। যেমন- ম্যাকবুকের মতো অ্যাপলের আরও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন কম্পিউটার এগিয়ে গেছে এর চেয়ে। ২০২০ সালে পুরোনো ইনটেল চিপ থেকে বেরিয়ে অ্যাপলের এমআই১ চিপের উপর ভিত্তি করে কোম্পানিটির বেশিরভাগ পণ্যের সঙ্গে বাজারে আসে ম্যাক মিনি। গত বছর কোম্পানিটির নিজস্ব এম২ চিপ দিয়ে ম্যাক মিনিকে আপডেট করে অ্যাপল। বর্তমানে এতে রয়েছে অ্যাপলের সর্বশেষ প্রজন্মের এম৪ চিপ। অ্যাপল সিলিকনসহ ম্যাকের মতো নতুন ম্যাক মিনিতেও থাকছে অ্যাপল ইনটেলিজেন্স বা কোম্পানিটির নিজস্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি। অ্যাপল বলেছে, ম্যাক মিনি তৈরি হয়েছে ‘শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সৃজনশীল ও ছোট ব্যবসায়ীদের মতো বড় পরিসরের ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে। এরইমধ্যে ডিভাইসটি জনপ্রিয় প্রমাণিত হয়েছে হোম থিয়েটার ও সার্ভার ফার্মের মতো বিশেষ ধরনের কোম্পানিতে ব্যবহারের জন্য।