সুসংবাদ প্রতিদিন

খেজুরের রস সংগ্রহের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত গাছিরা

প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বিজয় ঘোষ, রাজশাহী ব্যুরো

খেজুর রস না হলে যেন একদমই জমে না শীত, কুয়শাভেজা প্রভাতে গাছ থেকে রসের হাঁড়ি নামানোর দৃশ্য কিংবা, বাড়ির উঠানে গুড় পাকানোর আয়োজন, হরেক পদের পিঠা পুলির উৎসব। শীত আসার আগে রাজশাহীতে চলছে খেজুরের রস সংগ্রহের প্রস্তুতি। দা দরিয়া ও মাটির ভার কেনায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা। তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে খেজুরের রস সংগ্রহ এবং গুর তৈরি করে বাজারে বিক্রয় করবে বলে জানান গাছিরা। হেমন্তের হিম হিম ঠান্ডার পরেই জেঁকে বসবে শীত। আর শীতের অন্যতম প্রধান অনুসঙ্গ রসের হাঁড়ি। এ যেন বাংলার চিরায়িত রূপ। কিছু দিন পরেই গ্রামে গ্রামে ধুম পড়ছে রস সংগ্রহ। চলছে তারই প্রস্তুতি। রাজশাহী জেলা খেজুরের রস, গুড় আর পাটালির জন্য প্রসিদ্ধ। আর রাজশাহী জেলায় রাস্তার ধারে, জমির আইলে আর ছোট ছোট জমিতে খেজুরের গাছের সমারোহ দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তথ্য মতে, রাজশাহীতে খেজুর গাছ আছে ১১ লাখ ৮ হাজারেরও বেশি। তবে রাজশাহী জেলায় চারঘাট, বাঘা, পুঠিয়া ও দুর্গাপুর উপজেলা এলাকায় খেজুর গাছের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আর রাজশাহী জেলায় শীত মৌসুমে ৯ হাজার ৬৩ মেট্রিক টন গুড় উৎপাদন হয়। বর্তমানে ওইসব গাছ থেকে রস সংগ্রহের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত গাছিরা। আর শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও কদর রাজশাহীর খেজুর গুড়ের। সংশ্লিষ্টদের দাবি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে খেজুর গাছের বাগান করা গেলে। এটি হয়ে উঠবে লাভজনক ও সম্ভাবনাময় খাত। রাজশাহী কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক উম্মে সালমা জানান, আমাদের রাজশাহী জেলা খেজুরের গুড়ের জন্য প্রসিদ্ধ এবং সুসাদু। খেজুরের গাছ সাধরণত জমির আইলে, রাস্তার দুই ধারে অথবা বসত বাড়িতে লাগাতে দেখা যায়। ইতিমধ্যে আমাদের গাছি ভাইয়েরা খেজুর গাছের যত্নের কাজ শুরু করেছে এবং আগামী ৪-৫ মাস পর্যন্ত এই খেজুরের রস আহরণের কাজ চলবে। আমাদের চাষি যাতে সর্বাধিক লাভ করতে পারে সে বিষয়ে আমরা কৃষকদের সর্বিক পরামর্শ প্রদান করছি।