রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে পোশাকশ্রমিকদের সংঘর্ষ ও গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে ঢাকার কাফরুল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে। কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম মুস্তফা বলেন, অজ্ঞাতপরিচয় ৪০০ থেকে ৫০০ শ্রমিককে আসামি করা মামলা হয়েছে। তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল সকালে রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে পোশাকশ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পোশাকশ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ দুই পোশাকশ্রমিক হলেন আল আমিন (১৮) ও ঝুমা আক্তার (১৫)।
এ সময় বিক্ষুব্ধ পোশাকশ্রমিকরা পুলিশের একটি ও সেনাবাহিনীর একটি গাড়িতে আগুন দেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ বলেছে, গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর ১৪ নম্বর-সংলগ্ন পুরোনো কচুক্ষেত এলাকার প্রধান সড়কের পাশে ক্রিয়েটিভ ডিজাইনারস লিমিটেড (সিডিএল) নামের পোশাক কারখানার শ্রমিকরা ‘কাজ না করলে বেতন নয়’ নোটিশ দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এ সময় তারা কারখানার ওই নোটিশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
সেনা ও পুলিশ সদস্যরা তাদের ধাওয়া দিলে তারা এলাকা ছেড়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর পাশের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা সিডিএলের সামনে এসে স্লোগান দেন, ‘আমার ভাই মরল কেন জবাব চাই, দিতে হবে’। এরই মধ্যে মিরপুর ১৪ নম্বরের একের পর এক পোশাক কারখানা থেকে শত শত শ্রমিক এসে সিডিএলের সামনে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে যোগ দেন। তখন মিরপুর ১৪ নম্বরের সঙ্গে সংযোগ সড়কগুলোর যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যৌথ বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।