পিলখানায় বিডিআর হত্যার নেপথ্যে কারণ উদ্ঘাটনে পুনঃতদন্ত কমিশন হয়েছে কি না তা রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল রোববার সকালে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে এই তথ্য জানতে চান। কাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী। বিচারপতিরা বলেন, ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার নেপথ্যের কারণ জানতে চায় দেশের জনগণ। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুনঃতদন্তের কথা বললেও এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এর আগে পিলখানা ট্র্যাজেডির জাতীয় তদন্ত কমিশনের একজন সদস্য অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান নাসির বলেন, ওই সময় সরকারের হস্তক্ষেপে শুধু কাগুজে তদন্ত হয়। এর প্রতিবাদ করলে তাকে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। দায় এড়াতে তৎকালীন সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদ অসংলগ্ন কথা বলছেন বলেও অভিযোগ করেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের সদর দফতর পিলখানাকে রক্তে রঞ্জিত করে একই বাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য। তাদের হাতে দেশের মেধাবী সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে প্রাণ দিতে হয়। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় দুটি ভাগে বিচার কাজ চলছে। এর মধ্যে বিস্ফোরক আইনে করা মামলার বিচার প্রায় শেষ পর্যায়ে। আর হত্যার অভিযোগে নিম্ন আদালত ও হাইকোর্টে করা মামলার বিচারসম্পন্ন হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে নতুন করে সরব হয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। ইতোমধ্যে নিহত সেনা অফিসারদের পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য তারা সরাসরি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করেছেন। অন্তর্বর্তী সরকারও এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।