ইসকন ইস্যুতে কড়া হুঁশিয়ারি ইনকিলাব মঞ্চের
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামে সমাবেশ এবং উস্কানিমূলক বক্তব্য, একই সাথে মজলুম সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে আলটিমেটাম দেয়ায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকনের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবভিত্তিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ। গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইনকিলাব মঞ্চ সরকারকে ইসকনের বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার এবং তা না হলে কড়া পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি বলেন, ‘আপনারা জানেন আওয়ামী লীগের আমলে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে। অথচ এই ইসকন আওয়ামী লীগের আমলে সামান্য বিবৃতিটিও দেয়নি। খেয়াল করবেন, ইসকন চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে তাদের বড় বড় সমাবেশগুলো করছে। এর মাধ্যমে মূলত তারা মাইনোরিটি সাপ্রেশন হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে আমেরিকাকে ইন্ডিয়ার পররাষ্ট্রনীতির পক্ষে আনার চেষ্টা করছে।’ ‘জয় শ্রীরাম’ ইস্যু টেনে তিনি বলেন, ‘এসব সমাবেশে তারা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়েছে। আমরা অসংখ্য হিন্দু ভাই-বোনের মাঝখানে বড় হয়েছি। আমাদের বাসার আশপাশে সবসময় দুর্গা কিংবা কালীমন্দির দেখেছি। কখনো রামচন্দ্রের মন্দির আমরা দেখিনি, জয় শ্রীরাম স্লোগানও শুনিনি। বিগত ১৬ বছরে জয় শ্রীরাম স্লোগানকে নরমালাইজ করার চেষ্টা চলছে ইসকনের মাধ্যমে। এই স্লোগান তুলেই বিজেপি অসংখ্য মুসলমান নরনারী হত্যা করেছে। এটা ভারতের একটা মুসলিম নিধনের পলিটিক্যাল স্লোগান।’ ইসকন ও আওয়ামী লীগকে একীভূত করে দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘মূলত জয় শ্রীরাম হচ্ছে জয় বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানের সমার্থক। কেন এ কথা বললাম, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলেই ব্যাংক লুট করা হয়েছে। মানুষকে খুন করা হয়েছে। জুলুম নির্যাতন চালানো হয়েছে। একইভাবে জয় শ্রীরাম বলেও একই কাজ করা হয় ভারতে। সুতরাং একটি আরেকটির সমার্থক।’ আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে হুমকি দেয়ার প্রসঙ্গ টেনে শরীফ ওসমান হাদি বলেন, ‘ইসকনের দেখানো পথেই আমরা আইনি প্রশ্ন তুলতে চাই। ইসকনের প্রতিষ্ঠা আমেরিকায়। নানা দেশে তাদের শাখা আছে, কার্যক্রম আছে। সেই হিসেবে তারা একটি এনজিও প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এনজিও কখনো পলিটিক্স করতে পারবে না। ঢাকা ঘেরাও করতে চাওয়া, বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের বিরুদ্ধে সভা করে কথা এবং দাবি তোলা সেটা কি এদেশের রাজনৈতিক দল ছাড়া আর কেউ করতে পারে? এটা কি একটি এনজিও করতে পারে? এনজিও না হলে ইসকন কি রাজনৈতিক নাকি ধর্মীয় সংগঠন এটা তাদের পরিষ্কার করতে হবে। তাদের সব অর্থনৈতিক উৎস পাবলিকলি জানাতে হবে।’ সরকারকে অবিলম্বে ইসকন নিয়ে স্বাধীন কমিশন গঠনের দাবি জানান তিনি। অন্যথায় এ ব্যাপারে আদালতে রিট করার কথা জানান তিনি।