গেল অক্টোবরে স্বাভাবিকের চেয়ে ২৯ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। একমাসের আবহাওয়া গতি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে এই তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মো. ছাদেকুল আলম জানিয়েছেন, অক্টোবর মাসে সারা দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা ২৯ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। রংপুর বিভাগে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে স্বাভাবিক এবং অন্যান্য বিভাগে স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ৪ অক্টোবর উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। ৬ অক্টোবর এটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। এরপর ১৪ অক্টোবর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। ১৫ অক্টোবর এটি দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়। পরেরদিন এটি পশ্চিমণ্ডউত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়। ১৭ অক্টোবর আরো পশ্চিমণ্ডউত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। এক প্রতিবেদন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আরো জানান, ২১ অক্টোবর পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগর এলাকায় আরেকটি লঘুচাপ হয়। ২২ অক্টোবর সকাল ৬টায় একই এলাকায় এটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়। এটি আরো পশ্চিমণ্ডউত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ২২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় নিম্নচাপ এবং পরবর্তিতে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। এটি আরো পশ্চিমণ্ডউত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ২৩ অক্টোবর সকাল ৬টায় পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘দানায়’ পরিণত হয়। ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ ২৪ অক্টোবর সকাল ৬টায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করে এবং দুপুর ১২টায় আরো উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি আরো উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ২৫ অক্টোবর রাত ৩টায় উত্তর ওড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করে। এদিকে ১৪ অক্টোবর মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেয়। ১-১৪ অক্টোবর মৌসুমি বায়ুর সক্রিয় থাকায় দেশের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হয়। এ মাসে একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টি- ২৫০ মি.মি. চাঁদপুরে রেকর্ড করা হয়। এ মাসে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সে., যা ১ অক্টোবর মোংলায় রেকর্ড করা হয়। নভেম্বর মাসেও একটি ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা রয়েছে। তবে বৃষ্টি হতে পারে স্বাভাবিক।