প্রাকৃতিক বনে সামাজিক বনায়ন হবে
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন- প্রাকৃতিক বনে বনই থাকবে। সামাজিক বনায়নে উপকারভোগীদের সঙ্গে বন বিভাগ চুক্তি স্বাক্ষর করে। এরপর সামাজিক বনায়নের গাছগুলো কেটে উপকারভোগীদের মাঝে পয়সা বিতরণ করে দেয়। বনবিভাগের প্রাথমিক দায়িত্ব পয়সা বিতরণ করা নয়। তাদের প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে- প্রাকৃতিক বনকে রক্ষা করা। প্রাকৃতিক বনায়নে আর কোনো সামাজিক বনায়ন করা হবে না। গতকাল বুধবার টাঙ্গাইলের ব্যুরো বাংলাদেশ মিলনাতনে আয়োজিত আন্তর্জাতিক পরিবেশ সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ‘দিনের বেলায় সকল লাইট বন্ধ করে দিয়েছি। এই বিদ্যুৎ কোথায় কীভাবে উৎপাদন হয়- তা জানতে হবে। আমরা কেন দিনের বেলায় বিদ্যুৎ অপচয় করব। প্রাকৃতিক আলো থাকার পরেও কেন দিনের বেলায় লাইট জ্বালিয়ে প্রোগ্রাম করব। উপদেষ্টা বলেন, ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদী উদ্ধার করা যাচ্ছে না। নদীর নিচে তিন থেকে চার স্তরে পলিথিন পড়ে আছে। এ কারণে সেখানে ড্রেজিং করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমাদের সকলের উচিত পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করা। তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এবছর আমরা প্রচুর পরিমাণে গরম পেলাম। অপরদিকে দুটি বন্যা পেলাম- বাংলাদেশের মানুষ এতো গরম ও অস্বভাবিক বন্যা এরআগে দেখেনি। এটি কিন্তু কৃষকের মনে আতঙ্ক জাগিয়েছে। তাই কৃষি খাতকে সকল রকমের অনিরাপত্তা থেকে বাঁচাতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আমরা কেমন করে রোধ করব? সে সমাধান আমরা অধিক খাদ্য ফলিয়ে এবং উন্নত বিশ্বের জীবাষ্য জ্বালানি পোড়ানো রোধ করে সম্ভব করব। আন্তর্জাতিক পরিবেশ সম্মেলন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যুরো বাংলাদেশের এইচআরডি অ্যান্ড আইসিটি ডিরেক্টর অপারেশন্স ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস ফারমিনা হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ পৃথিবীর নির্বাহী পরিচালক সহিদ মাহমুদ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর শহীদুল হক, আসপাড়া পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক লায়ন এমএ রশীদ, রিভারাইন পিপলের মহাসচিব শেখ রোকন প্রমুখ।