এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ অব্যাহত আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও পাঁচজন। এতে ডেঙ্গুতে চলতি বছর মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪২ জনে। এছাড়া গত একদিনে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৬৬ জন। চলতি বছর মোট রোগীর সংখ্যা ৬৯ হাজার ৯২২ জন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত একদিনে ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে তিনজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বাসিন্দা। আর বাকি দুইজন চট্টগ্রামের। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী ১৪৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পাশাপাশি এই সময়ে ঢাকা বিভাগে ডেঙ্গু নিয়ে ৯২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া গত একদিনে চট্টগ্রাম বিভাগে ৫০ জন, খুলনা বিভাগে ৪৩ জন, বরিশাল বিভাগে ৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে (ডিএসসিসি) ৯৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২০ জন, রংপুর বিভাগে ১ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয, চলতি বছরের প্রথম দিন থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ৩৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এই সময়ে মশাবাহিত রোগটি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৯ হাজার ৯২২ জন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায়। ডিএসসিসিতে মশাবাহিত রোগটিতে চলতি বছর মোট ১৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে (ডিএনসিসি) ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ে বরিশাল বিভাগে ৩৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৭ জন, খুলনা বিভাগে ২১ জন, ঢাকা বিভাগে ১৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৭ জন, রংপুর বিভাগে ২ জন ছাড়াও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকা এবং রাজশাহী বিভাগে একজন করে মোট দুইজন ডেঙ্গুতে মারা গেছেন। প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ২ লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন ৩ লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর ১ হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।