‘নিরাপদ বাংলাদেশ চাই’ আলোচনা সভা
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের হাতে নিহত ৮৬ জন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সারা দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে ছাত্রলীগ অনিরাপদ পরিবেশ তৈরি করেছিল
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের হাতে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পর্যায়ে ৮৬ জন নিহত হয়েছেন। ধর্ষিত হয়েছেন ১৪জন নারী। যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে ৬৯ জনের সঙ্গে। গত ১৫ বছরে তাদের হাতে নির্যাতিত হয়েছে ১ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী। নিষিদ্ধ এ সংগঠনটি ৫৩টি চাঁদাবাজি, ৩৯টি টেন্ডারবাজি এবং ৩০টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে। নিজেদের দলীয় কোন্দলে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭ জন। পরীক্ষায় নকল জালিয়াতি ও ভুয়া বাণিজ্যে গত ১৫ বছরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ৩৭টি ঘটনার সবগুলোর সঙ্গেই ছাত্রলীগ জড়িত ছিল। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘নিরাপদ বাংলাদেশ চাই’-এর আয়োজনে ‘শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে এমন তথ্য তুলে ধরেন বক্তারা। আয়োজিত এই শীর্ষক সেমিনারে ‘ছাত্র রাজনীতির অন্ধকারের এক যুগ’ বিষয়ক গবেষণা প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের হাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিহত হয় ৫১ জন। বিভিন্ন পর্যায়ে ৮৬ জন নিহত হয়েছেন। একই অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, শিক্ষাঙ্গন নিরাপদ না হলে পুরো দেশটাই অনিরাপদ হয়ে যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সারা দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে ছাত্রলীগ অনিরাপদ পরিবেশ তৈরি করেছিল। এজন্যই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শফিকুল আলম বলেন, আর যেন কোথাও ছাত্রলীগ তৈরি হতে না পারে সে পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এজন্য শিক্ষার্থী এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষকদের ভূমিকা রাখতে হবে। সুষ্ঠু একটি দেশ গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এসময় নতুন করে রাষ্ট্র মেরামত করতে হলে শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস দূর করত হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার।