বাগেহাটের মোংলায় বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৯ এ অভিনব কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে মোংলার বন্দরের দক্ষিণ কাইনমারির পশুর নদের পাড়ে ‘বৈশ্বিক সচেতনতা এবং স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সংহতি রাখার অনুপ্রেরণামূলক প্রয়াসে মোংলা নাগরিক সমাজ (এমএনএস), কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (ক্লিন) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিডাব্লিউজিইডি) যৌথভাবে এই প্রচারাভিযানের আয়োজন করে। এসময় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির তীব্র সংকট মোকাবিলায় মোংলায় পানিতে নিমজ্জিত পরিবার’ বাড়ছে জোয়ার; জাগ্রত কণ্ঠস্বর’ শিরোনামে অভিনব কর্মসূচি পালিত হয়। অভিনব কর্মসূচির মধ্যে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির তীব্র সংকটকে কেন্দ্র করে নদীর পানিতে নিমজ্জিত বাড়ির পরিবারের শিশুরা ব্যানার ফেস্টুন হাতে নিয়ে অভিনব প্রতিবাদ জানায়। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির এই সংকটে এ অঞ্চলের জীবন-জীবিকা বিপন্ন করে চলছে। অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন মোংলা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক পরিবেশযোদ্ধা মো. নূর আলম শেখ। এসময়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক নেতা নাজমুল হক, বিদ্যুৎ মণ্ডল, পরিবেশকর্মী কমলা সরকার, চন্দ্রিকা মণ্ডল, তন্বী মণ্ডল, মো. রহমত শেখসহ পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও ছাত্র-তরুণ। প্রচারাভিযান ভিত্তিক অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, এ প্রচারাভিযানটি এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হয় যখন জোয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড় এবং লবণাক্ত পানির অনুপ্রবেশের মতো সমস্যাগুলো উর্বর জমিকে ধ্বংস করে ফেলছে এবং স্থানীয় জনগণকে বিকল্প জীবিকার সন্ধানে চলে যেতে বাধ্য করছে।
বক্তারা আরো বলেন, আজ মোংলার নাগরিক সমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করছে। কপ২৯-এর পূর্বে আমরা আমাদের আওয়াজ তুলছি, যাতে বিশ্বনেতারা উপলব্ধি করেন যে, আমাদের যেন সময় দ্রুত শেষ হয়ে আসছে। উল্লেখ্য, মোংলা নাগরিক সমাজের এই উদ্যোগটি কপ২৯-এর আগে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার লক্ষ্যে আয়োজন করা হয়েছে। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশের সরকার এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের কাছে উপকূলীয় অভিযোজনের জন্য তহবিল বরাদ্দ, দুর্যোগ প্রতিরোধী অবকাঠামো নির্মাণ এবং জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তার আবেদন জানান।