ঢাকা ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আজ ইসিতে যাবেন সাবেক সিইসি আবু হেনা

আজ ইসিতে যাবেন সাবেক সিইসি আবু হেনা

নির্বাচন সংস্কার কমিশনের আমন্ত্রণে আজ সোমবার নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আসবেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) মোহাম্মদ আবু হেনা। সাবেক এই সিইসির পর আরও দুই সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারকেও ডাকা হবে বলে জানা গেছে। ইসি সূত্র জানায়, আজ সংস্কার কমিশনের আমন্ত্রণে সাবেক সিইসি মোহাম্মদ আবু হেনা আসবেন। এরপর সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ এবং সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদাকেও ডাকবে সংস্কার কমিশন। নির্বাচন কমিশনের সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এর আগে, গত ৩ অক্টোবর রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে নির্বাচনি ব্যবস্থাপনা সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। বিদ্যমান নির্বাচনিব্যবস্থার সংস্কারের মাধ্যমে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে জনপ্রতিনিধিত্বশীল ও কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনে এ কমিশন গঠন করা হয়। সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ও নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. বদিউল আলম সুজনকে। কমিশনের সদস্য করা হয়েছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিশেষজ্ঞ শিক্ষাবিদ ড. তোফায়েল আহমেদ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচনব্যবস্থা, ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র বিশেষজ্ঞ জেসমিন টুলী, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ও ওপিনিয়ন মেকার ড. জাহেদণ্ডউর রহমান, শাসন প্রক্রিয়া ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার বিশেষজ্ঞ মীর নাদিয়া নিভিন, ইলেকট্রনিক ভোটিং ও ব্লকচেইন বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ সাদেক ফেরদৌস ও একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নির্বাচন সংস্কার কমিশন সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রস্তুত করা প্রতিবেদন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে; কমিশনের কার্যালয় সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হবে; কমিশনের প্রধান ও সদস্যরা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সরকারি পদমর্যাদা, বেতন/সম্মানী ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে শর্ত থাকে যে, কমিশন প্রধান বা কোনো সদস্য অবৈতনিক হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে না চাইলে তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন; প্রজাতন্ত্রের সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা কমিশনের চাহিদানুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহসহ সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করিবে; কমিশন প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করিতে পারবে; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত