পুদিনা পাতার উপকারিতা

প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

পুদিনাপাতা কেবল খাবারের জন্য একটি সুস্বাদু গার্নিশ বা পানীয়ের জন্য একটি সতেজ সংযোজনই নয়, বরং এর চেয়ে অনেক বেশি কিছু। বহু শতাব্দি ধরে এই সুগন্ধযুক্ত ভেষজটি শরীরের নানা উপকারিতায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর স্বাদ বা সুগন্ধ ছাড়াও আছে অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা। পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং থেরাপিউটিক গুণসম্পন্ন পুদিনা পাতা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

হজমে সাহায্য করে এবং পেটের অস্বস্তি কমায় : এটা সুপরিচিত যে পুদিনা পাতা হজমে সাহায্য করে। পাচক এনজাইম বৃদ্ধির ফলে পুষ্টিকর শোষণ এবং খাবার হজম সহজ হতে পারে। যখন কারও নিয়মিত পেট ফাঁপা, বদহজম বা পেট খারাপ হতে থাকে তখন পুদিনা একটি কার্যকর প্রাকৃতিক নিরাময় হতে পারে।

পেটের সমস্যা সারাতে খাবার খাওয়ার আগে বা পরে পুদিনা চা পান করুন। সেজন্য তাজা পুদিনা পাতা ফুটন্ত পানিতে পাঁচ থেকে দশ মিনিটের মতো ফুটিয়ে নিন। এরপর নামিয়ে কিছুটা ঠান্ডা হলে পান করে নিন। এর সঙ্গে এক টুকরো আদা বা কয়েক ফোঁটা লেবুর রস যোগ করে পরিপাকতন্ত্রের উপকারিতা আরও বাড়ানো যায়।

ঠান্ডার সমস্যা উপশম করে : পুদিনা পাতায় মেনথল, ডিকনজেস্ট্যান্ট বৈশিষ্ট্যসহ একটি প্রাকৃতিক সুগন্ধি রাসায়নিক পাওয়া যায়। এটি শ্বাস নেয়া সহজ করে। বিশেষ করে যদি আপনার সর্দি, কাশি বা অবরুদ্ধ সাইনাস থাকে। পুদিনা পাতা সেদ্ধ করা পানি থেকে ভাপ নিলে বা পুদিনা চা পান করলে কাশি এবং অন্যান্য ঠান্ডার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। গরম পানির একটি পাত্রে কয়েকটি পুদিনা পাতা রেখে তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে পাঁচ থেকে দশ মিনিটের জন্য ভাপ নিন। এছাড়া গলা ব্যথা উপশম করতে পুদিনা চায়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।

মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে : মাউথওয়াশ এবং টুথপেস্টে পুদিনা পাতা ব্যবহারের কারণ রয়েছে। এই পাতায় শক্তিশালী ব্যাকটেরিয়ারোধী এবং প্রদাহবিরোধী গুণাবলী মৌখিক ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সাহায্য করতে পারে, শ্বাসকষ্ট কমায় এবং দাঁতের মাড়িকে রক্ষা করতে পারে। মুখকে সতেজ করার আরেকটি প্রাকৃতিক উপায় হলো তাজা পুদিনা পাতা চিবানো।