প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
দুধ উৎপাদনের ঘাটতি কমাতে আমদানি নির্ভরতা থেকে বের হতে হবে
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
দুধ উৎপাদনের ঘাটতি কমাতে আমদানি নির্ভরতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্টস ফোরাম (এফএলজেএফ) আয়োজিত ‘দেশের ডেইরি খাতের সমস্যা-সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ফরিদা আখতার বলেন, আমাদের মৎস্য খাত যেমন বৈষম্যের শিকার তেমনি প্রাণী খাতও অসম সংহাতের শিকার। দুধ উৎপাদনের ঘাটতি কমাতে আমাদের আমদানি নির্ভরতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমরা বিদেশি, টেকনোলজি ও আমদানি নির্ভরতা কমাতে চাই। গণমাধ্যমে প্রাণিসম্পদ গুরুত্ব পায় না উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, সাংবাদিকতায় প্রাণিসম্পদ খুব একটা গুরুত্ব পায় না। তবে আমাদের যে আমিষ জাতীয় খাবারের জোগান, তা আসে প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য থেকে। কাজেই এ বিষয়ে যদি আমরা উন্নয়নের চেষ্টা না করি, তাহলে আমাদের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। বিশেষ করে দুধ উৎপাদনে ঘাটতি কমাতে আমাদের যে আমদানি নির্ভরতা তা বদলাতে হবে। আমদানির নির্ভরতা থাকলে আমাদের গরু-ছাগল পালনে দুধ উৎপাদনে যে সম্ভাবনাগুলো আছে তা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দুধ বলতে আমরা শুধু গরুর দুধকেই বুঝি কিন্তু বিকল্প হিসেবে মহিষের দুধ থেকেও ঘাটতি পূরণ করা যায়। এখান থেকে দুগ্ধ জাতীয় অনেক কিছুই তৈরি করা যায়। গরুর দুধের উৎপাদনশীলতা নিয়ে তিনি বলেন, বিদেশি গরুর তুলনায় দেশি গরুর দুধের উৎপাদনশীলতা কম। কিন্তু আমরা যদি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য গরুকে ফিড খাওয়াই তাহলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। তার চেয়ে বরং ঘাস লাগিয়ে, গোচারণভূমি বাড়িয়ে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারি। কৃষি খাতে চাষের জন্য আগাছানাশক দ্রব্য ব্যবহার করে গোখাদ্য নষ্ট না করে এটি সমন্বয় করার দরকার আছে।
ফরিদা আখতার বলেন, আমাদেরকে বড় বড় কোম্পানির নির্ভরশীলতা কমিয়ে সাধারণ কৃষকদের থেকে দুধ সংগ্রহ করে সেটা কি করে শহরে আনা যায় সে ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ শিশু পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। শিশুদের মিড ডে মিল হিসেবে দুধের পাশাপাশি ডিমও দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এফএলজেএফের সভাপতি মুন্না রায়হানের সঞ্চালনায় এসময় আরো বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, এলডিডিপির প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান প্রমুখ।