লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অটোরিকশার চাঁদা আদায়ের জেরে হত্যার শিকার একরামুল হক হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। সেইসঙ্গে পেনাল কোডের ২০১ ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে আরও ৭ বছর করে কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার করে টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
গতকাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আদীব আলী এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, হাতীবান্ধা উপজেলার রমনীগঞ্জ গ্রামের তছির উদ্দিনের ছেলে মো: শামীম হোসেন (৩৭), একই এলাকার আব্দুস সোবাহানের ছেলে নুর হাই (৪০) এবং মৃত নজির হোসেনের ছেলে কবির হোসেন (২৮)। রায় ঘোষণার সময় নুর হাই ছাড়া অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায়ে ৬ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোয়ানী মোড় এলাকায় অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে গত ২০২০ সালের ১০ জুলাই সকালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শামীম হোসেন মোবাইল ফোনে কল করে একরামুল হককে রমনীগঞ্জ গ্রামের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সেইদিন থেকে নিখোঁজ ছিল একরামুল। এর সাতদিন পর সানিয়াজান নদীর ধারে একটি ধান ক্ষেত থেকে মাটিতে পুতে রাখা অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে একরামুলের স্ত্রী মনিরা ইয়াছমিন (৩১) বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় শামীম, নুর হাই এবং সবুজের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।