ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তিন দেশ থেকে ফিরিয়ে আনা হলো ২৫৬ বাংলাদেশিকে

তিন দেশ থেকে ফিরিয়ে আনা হলো ২৫৬ বাংলাদেশিকে

লিবিয়ার বেনগাজী ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল, তিউনিসিয়া এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে স্বেচ্ছায় দেশে আসতে ইচ্ছুক ২৫৬ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, লিবিয়া ও লেবাননের বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় তারা দেশে ফিরতে পেরেছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এবং বুধবার ভোরে আলাদা তিনটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান প্রবাসী বাংলাদেশিরা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। লিবিয়া থেকে গতকাল ভোর সোয়া ৬টায় বুরাক এয়ারের চার্টার্ড ফ্লাইটে ১৪৩ বাংলাদেশি, ভোর সাড়ে ৫টায় তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিউনিসিয়া থেকে ১৮ জন এবং এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে লেবানন থেকে ৯৫ জনকে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশি নাগরিককে অভ্যর্থনা জানান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, লিবিয়া ও তিউনিসিয়া থেকে প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশিদের বেশিরভাগই সমুদ্রপথে অবৈধভাবে সেখানে গিয়েছিলেন। ইউরোপ যাত্রার উদ্দেশ্যে মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় দেশদুটিতে অনুপ্রবেশ করেন তারা। তাদের অধিকাংশই লিবিয়াতে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আইওএম এর পক্ষ থেকে তিউনিশিয়া থেকে প্রত্যাবাসিত প্রত্যেককে ৫ হাজার ৪৫০ টাকা এবং লিবিয়া থেকে প্রত্যাবাসন করা প্রত্যেককে ৬ হাজার টাকা, সঙ্গে কিছু খাদ্যসামগ্রী দেয়া হয়েছে। যাদের প্রয়োজন তাদের প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা এবং অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে এ পর্যন্ত মোট ৪৬৫ বাংলাদেশিকে এবং আইওএম স্পন্সরে ১৫১ জনকে লেবানন থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। গত ২১ অক্টোবর প্রথম দফায় ফেরত এসেছেন ৫৪ জন। এর পর ২৩ অক্টোবর দুটি ফ্লাইটে ৯৬ জন, ২৮ অক্টোবর মধ্যরাতে ৩০ জন, ২৯ অক্টোবর রাতে ৩৬ জন, ৩১ অক্টোবর ৫২ জনকে, ৩ নভেম্বর ৭০ জন এবং ৫ নভেম্বর ১৮১ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। লেবাননে চলমান সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থায় যত জন প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে চায় তাদের সবাইকেই সরকার নিজ খরচে দেশে ফেরত আনবে। এক বিজ্ঞপ্তিতে বৈরুতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, লেবাননে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা স্বেচ্ছায় দেশে যেতে দূতাবাস বরাবর আবেদন করেছেন এবং যাদের পাসপোর্ট, আকামাসহ আবশ্যক ট্রাভেল ডকুমেন্টস প্রস্তুত রয়েছে, তাদের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দূতাবাসের ব্যবস্থাপনায় দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত