ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

যেভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকবে রাগ

যেভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকবে রাগ

কথায় কথায় রেগে যান? রাগের মাথায় প্রিয়জনকে খারাপ কথা বলার ঠিক পর মুহূর্তে আফসোস করতে হয়? তাহলে এবার একটু সতর্ক হতে হবে। অনেক সময় রাগের কারণে এর প্রভাব কর্মজীবনেও পড়ে। মাত্রাতিরিক্ত রাগে সম্পর্ক নষ্টের পাশাপাশি খারাপ হয় শরীরও। তাই রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে মেনে চলতে পারেন কিছু টোটকা।

স্পষ্ট কথায় কষ্ট নেই : যদি কাছের কোনো মানুষের উপর রাগ হয়, তবে তাকে খুলে বলুন আপনার মানসিক টানাপড়েনের কথা। রাগ পুষে রাখলে কষ্ট বাড়ে। সঙ্গে বেড়ে যায় রাগের মাত্রাও। মন খুলে কথা বললে কিন্তু রাগ অনেকটাই বশে রাখা সম্ভব। লিখে রাখুন: একবার মেজাজ খারাপ হয়ে গেলে অনেকেই দীর্ঘক্ষণ অন্য কোনো কাজে মনোনিবেশ করতে পারেন না। এমন সমস্যায় নিজের মনের কথা লিখে রাখার অভ্যাস করতে পারেন। রাগ-দুঃখ-অভিমান নিয়ম করে ডায়েরিতে লিখে রাখলে নিজের মন বুঝে ওঠা সহজ হয়।

সহ্যের মাত্রা : কোন পরিস্থিতিতে গিয়ে হঠাৎ রেগে যাচ্ছেন, তা বোঝার চেষ্টা করুন। মনোবিদদের ভাষায়, এই জায়গাগুলোকে বলা হয় ‘ট্রিগার পয়েন্ট’। কোনো কোনো বিষয় সহ্য করা সম্ভব হয় না। তেমন পরিস্থিতিতে পৌঁছালে সহ্যের সীমা ছাড়ায়। রাগ হয়। এই ‘ট্রিগার পয়েন্ট’ পর্যন্ত যাতে না পৌঁছতে হয়, তাই কিছু পরিস্থিতি এড়িয়ে চলুন। যেই কথা শুনে রাগ হয়, সেই কথায় অংশগ্রহণ না করাই ভালো। হাসিখুশি : মানসিক চাপ কমাতে হাসি-ঠাট্টার জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত দেখতে পারেন, হাসির ছবি থেকে ব্যঙ্গাত্মক টেলিভিশন শো বা ওয়েব সিরিজ। পড়তে পারেন হাসির গল্পের বই। তবে অনেকে মজা করতে গিয়ে মাত্রা হারিয়ে ফেলেন। খেয়াল রাখবেন, নিজের চাপ বা রাগ কমাতে গিয়ে অন্যের অনুভূতিকে আঘাত করে ব্যঙ্গ না করাই বাঞ্ছনীয়। মনোবিদের সাহায্য নিন : প্রয়োজন হলে সাহায্য নিন মনোবিদের। যদি কোনোভাবেই আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণে না আসে, তা হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া জরুরি। অনেক সময়ে হরমোন কিংবা স্নায়ুর সমস্যা থেকেও হতে পারে মাত্রাতিরিক্ত রাগ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত