চালতার আচার কার না পছন্দ! ছোট-বড় প্রায় সব বয়সীদেরই টক-মিষ্টি চালতার আচার খুব প্রিয়। টক ফল হওয়ায় চালতার আচার, চাটনি, চালতাণ্ডডাল অনেকেরই প্রিয় খাদ্য। এরই মধ্যে কাঁচা বাজার ছেয়ে গেছে, এই লোভোনীয় টক ফল চালতার সমারোহে। শুধু খেতেই সুস্বাদু ও লোভনীয় নয়, এর রয়েছে অনেক পুষ্টি উপকারী ভূমিকা। চালতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, বিটা ক্যারোটিন এবং সামান্য পরিমাণ প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট। তাই চালতা মানবদেহে যেমন রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে, তেমনি পুষ্টিগুণেও রাখে বিশেষ ভূমিকা-
চালতার স্বাস্থ্য উপকারিতা : চালতায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-সি থাকায় এই ফল স্কার্ভি ও লিভারের রোগ প্রতিরোধ করে। চালতার রয়েছে বিশেষ ধরনের কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ব্রেস্ট ক্যান্সার ও ইউট্রাস ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। চালতা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। চালতাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন থাকে বলে রক্তের লোহিত রক্তকণিকার কার্যক্রমে সহায়তা করে, রক্তস্বল্পতা দূর করে। চালতার বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান হার্টের নানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
কিডনির নানান রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে এই টক ফলটি। ডায়রিয়া ও বদহজমেও চালতা বেশ ভালো কাজ করে। গলাব্যথা, বুকে কফ জমা, সর্দি, কাশি ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধেও চালতার আছে বিশেষ গুণ। তাই শীতকালে এসবের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে হলে চালতার রস কিংবা চালতার টক খেতে পারেন মাঝেমধ্যেই। চালতা হাড়, দাঁত ও নখ গঠনে সহযোগিতা করে। সর্বোপরি চালতা দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেহকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে। তাই এই শীতে কিংবা সারা বছরেই চালতা খেতে পারেন আচার, চাটনি বানিয়ে অথবা চালতাণ্ডডাল আহার করে।