রাষ্ট্রের বিভিন্ন কাঠামোতে আওয়ামী দোসররা বহাল তবিয়তে থেকে আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা। গতকাল শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই বিপ্লবের ১০০তম দিনে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে এই কথা বলেন তারা। জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রশাসনিক জায়গায় বিভিন্ন পোস্ট রয়েছে, সেখানে ফ্যাসিবাদে দোসররা বিরাজমান। তারা ভেতর থেকে আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যুরোক্রেসি, আর্মি, র্যাব, পুলিশ ও আমলাতন্ত্র যেখানে ফ্যাসিবাদের দোসর এখনো বিরাজমান, অতি দ্রুত তাদের বিদায় করতে হবে। তিনি বলেন, যদি এমন ধারণা হয় যে, আমলাতন্ত্রে যারা সিনিয়র রয়েছেন, যারা খুনের নির্দেশ দিয়েছেন, তাদের যদি প্রাধান্য দেওয়া হয় তাহলে হয়তো আরো একটি যুদ্ধে নামতে হবে।
আগামীর দিনে ছাত্ররা প্রশাসন চালাবে, সচিবালয় চালাবে। সেই জায়গাগুলো থেকে জনগণের শক্তির যে কেন্দ্রবিন্দু আছে সেই কেন্দ্রবিন্দুতে আমরা আবারও ব্যাক করতে বাধ্য হবো। রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্য তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল টাকার বিনিময়ে, মামলার বিনিময়ে যেভাবেই হোক, একটা পলিটিক্যাল সেটেলমেন্টে গিয়েছেন। সেগুলো সমাজের কাছে স্পষ্ট। বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার রাষ্ট্র রূপান্তরে আপনারা যদি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে আগামী নির্বাচনে গণঅভ্যুত্থানের মতো তরুণদের একটি ব্যালট বিপ্লব হবে। জুলাই বিপ্লব নিয়ে তিনি বলেন, আহতদের নিয়ে কোনো রাজনীতি করা চলবে না। শহীদদের নিয়ে কোনো রাজনীতি চলবে না।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বলেন, শেখ হাসিনার পতন হলেও তার পা ছুঁয়ে সালাম করা রাষ্ট্রপতিকে আমরা পদত্যাগ করাতে পারিনি। বাকশালের মূলনীতি আর সংবিধানের মূলনীতি এক। সেই সংবিধান দিয়ে কি রাষ্ট্র চলবে? ছাত্ররা যখন বলছে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ করতে হবে, তখন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলছে রাষ্ট্রপতিকে চাপ দিয়ে কাজ করানো যাবে, উনি থাক। তারা নির্বাচন দিয়ে দ্রুত রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে চায়। জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য আকরাম হুসেইন বলেন, আওয়ামী লীগকে যারা ফ্যাসিস্ট বলতে ভয় পায়, তাদের বাংলাদেশের মাটিতে রাজনীতি করার অধিকার নেই। আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদকে দেশ থেকে চির নির্মূল করা না পর্যন্ত আমাদের লড়াই সংগ্রাম চলবে।