জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আফসানা করিম রাচির মৃত্যুর ঘটনায় আট দফা দাবিতে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
গতকাল বুধবার সকাল ৭টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবক’টি ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে কোনো গাড়ি ভেতরে ঢুকতে পারছে না। বর্তমানে ‘জাহাঙ্গীরনগর ব্লকেডের’ অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা। ব্লকেড কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা জানান, তারা নিরাপদ ক্যাম্পাস দাবিতে ‘জাহাঙ্গীরনগর ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের কর্মসূচি চলাকালে ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী দুর্বার আদি প্রথম বলেন, প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল ক্যাম্পাসের মেডিকেলে উপযুক্ত চিকিৎসা নিশ্চিত করা। একজন শিক্ষার্থী যদি ক্যাম্পাসে আহত হয়, তাকে ক্যাম্পাসের মেডিকেলে নেয়ার পর তার যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা উচিত। কিন্তু রাচির ক্ষেত্রে সেটি পারেনি। এটাকে প্রশাসনের ব্যর্থতা হিসেবে আমরা চিহ্নিত করি।
ইংরেজি বিভাগের প্রথম বিভাগের শিক্ষার্থী চিশতি বলেন, গত মঙ্গলবার যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটাকে আমরা কাঠামগত হত্যাকাণ্ড বলে চিহ্নিত করছি। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সকালে কর্মসূচি শুরু করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি, ক্যাম্পাসে রেজিস্ট্রেশনবিহীন সব যানবাহন বন্ধ করতে হবে, রেজিস্ট্রেসনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে, রাচির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে। এগুলো বাস্তবায়ন না হলে আমাদের আন্দোলন চলবে।
আন্দোলনরত আরেক শিক্ষার্থী অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইবনাত সামিহা বলন, দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে রিচির গায়েবানা জানাজা হবে। জানাজার নামাজ শেষ করে ফটকগুলো থেকে তালা খুলে দিয়ে আমাদের ব্লকেড কর্মসূচি শেষ হবে।
সন্ধ্যা সাতটায় মোমবাতি প্রজ্বালন হবে। পরে ভিসির বাসভবনে গিয়ে ঘাতকের শাস্তিসহ ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে যানবাহন চলাচলে নীতিমালা বাস্তবায়নের আপডেট জানতে চাইব। আমাদের বিষয়গুলো যদি বিবেচনায় না নেওয়া হয়, তাহলে আবার ব্লকেড কর্মসূচি দেওয়া হবে।”
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাশিদুল আলম বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছে। শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনা এবং ওভারঅল সব বিষয় নিয়ে আমাদের প্রশাসনিক সভা হবে। সভার পর বাকি সিদ্ধান্ত জানানো যাবে।