কুমিল্লা ইপিজেড ২০২৩-২৪ অর্থছরে ৭১১ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। ৪৬টি দেশি-বিদেশি শিল্প প্রতিষ্ঠানে ৫০ হাজার শ্রমিক কর্মরত আছে। এদের মধ্যে ৬৬ শতাংশই নারী শ্রমিক। এছাড়া পরিবেশজনবান্ধব রাখতে কেন্দ্রীয় তরল বর্জ্য শোধনাগারের (সিইটিপি) অপারেশন কার্যক্রম সার্বক্ষণিক সচল রাখা হয়েছে। সম্প্রতি কুমিল্লা ইপিজেডের বেপজা কার্যালয়ের হলরুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান বেপজা কুমিল্লার নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহবুব। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বেপজার নির্বাহী পরিচালক (গণসংযোগ) এ এস এম আনোয়ার পারভেজ, সিইটিপি পরিচালনাকারী সিগমা ইকো-টেক লি. এর পরিচালক (অপারেশন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মির্জা মো. মনজুর কাদির প্রমুখ। মতবিনিময় সভায় বেপজা কুমিল্লার নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহবুব আরও বলেন, কুমিল্লা ইপিজেডের শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের তরল বর্জ্যরে পাশাপাশি স্যুয়ারেজ বর্জ্য পরিশোধনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে আসছে। এ ইপিজেডের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর সকল ধরনের তরল বর্জ্য একটি নির্দিষ্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংগ্রহ করে পরিশোধনপূর্বক ইপিজেডের দক্ষিণ পাশের্^র খালে নিষ্কাশন করা হচ্ছে। মতবিনিময় সভাশেষে সাংবাদিকদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সিইটিপির পরিশোধন কার্যক্রম সরেজমিনে দেখানো হয়। তবে কুমিল্লা সিটির দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় অর্ধশত গ্রামে দূষিত পানির বিষক্রিয়ায় কৃষি জমি, ফল-ফলাদি, শাক-সবজি, গাছ-পালা ও জীববৈচিত্র্য বিনষ্টসহ বসবাসরত মানুষজন নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে ওই অঞ্চলের মানুষ ‘কুমিল্লা বাঁচাও আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধনসহ সভা-সমাবেশ করে আসছে। তবে এ অস্বহিমশকর পরিবেশের জন্য সিটি করপোরেশন ও ইপিজেড কর্তৃপক্ষ পরস্পরকে দোষারোপ করে আসছে।