ঢাকা ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অন্যরকম

মমি করা এক বাজপাখির দাম কোটি টাকার বেশি

মমি করা এক বাজপাখির দাম কোটি টাকার বেশি

চলতি সপ্তাহেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি আর্ট গ্যালারিতে তোলা হবে ২ হাজার ৬০০ বছর আগে পৃথিবীতে বিচরণ করা একটি বাজপাখিকে। মিশরে মমি করা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া এই পাখিটির গায়ে মূল্য লেখা আছে ৮৯ হাজার ৬৬০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রার হিসেবে যা এক কোটি টাকারও বেশি। গত মঙ্গলবার আমিরাত-ভিত্তিক দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, মমিটি বাজপাখির আদলে খোদাই করা একটি কাঠের প্রকোষ্ঠের ভেতরে রাখা ছিল। ১৯৮০’০র দশকে ফ্রান্সের একটি প্রদর্শনী থেকে এটিকে কিনে নিয়েছিলেন অস্ট্রিয়ার এক সংগ্রাহক।

মমি অবস্থায় ৫৫ সেন্টিমিটার দীর্ঘ কাঠের খোলটির ভেতরে একটি লিনেন কাপড়ে মোড়ানো ছিল বাজপাখিটি। খোলের ভেতর পাখিটির শরীর সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় ছিল। পরবর্তীতে একটি এক্স-রে চিত্রেও দেখা গেছে, মমি করা পাখিটির কঙ্কালও অক্ষত রয়েছে। আর এর ডানাগুলো মানুষের মমির মতো ভাঁজ করা অবস্থায় আছে। তবে ডান ডানাটি ভাঙা অবস্থায় দেখে গবেষকরা ধারণা করছেন, এটিকে বলিদানের উদ্দেশ্যে রাখা হয়েছিল। মমিটি যে সময়ের আভাস দিচ্ছে তা মিসরের ২৬তম রাজবংশের সময়কাল। এই রাজবংশ খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দী থেকে সপ্তম শতাব্দী পর্যন্ত রাজত্ব করেছিল। দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, কাঠের যে খোলের মধ্যে মমিটি রাখা ছিল সেই খোলের ঢাকনাটি প্রাচীন মিসরীয় দেবতা হোরাসের অনুরূপ একটি বাজপাখির আকারে খোদাই করা হয়েছে। বাজপাখির মতো মুখের এই দেবতাকে নিরাময়, সুরক্ষা, সূর্য এবং আকাশের প্রতিনিধি হিসেবে পূজা করা হতো।

জানা গেছে, প্রতি বছরের নভেম্বরে আবুধাবির যুবরাজ শেখ খালেদ বিন মোহাম্মদের পৃষ্ঠপোষকতায় আবুধাবি আর্ট অনুষ্ঠিত হয়। এই শিল্প প্রদর্শনীতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক শিল্পীরা অংশ নেন। এবার আবুধাবির মানারাত আল-সাদিয়াতে ২০ থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে। এর আগে গত বছর ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডশায়ারের সোয়ান ফাইন আর্টের নিলামে ২ হাজার ৮০০ বছর আগে মমি করে রাখা একটি বাজপাখির মাথা বিক্রি হয়েছিল। যদিও সে সময় ওই মমিটির দাম প্রকাশ করা হয়নি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় একজন ব্রিটিশ সৈনিক মিশর থেকে মাথাটি নিয়ে গিয়েছিলেন। ওই সৈনিকের পরিবার পরবর্তী প্রায় শতাব্দী এটিকে একটি ড্রয়ারে লুকিয়ে রেখেছিল। কারণ বাড়িতে কোনো অতিথি আসলেই এটি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত