ঢাকা ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দেয়া গণমাধ্যম চিহ্নিত করা হবে

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দেয়া গণমাধ্যম চিহ্নিত করা হবে

জুলাই অভ্যুথানের সময় যেসব গণমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দেয়া হয়েছে, সেসব গণমাধ্যম চিহ্নিত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। শফিকুল আলম বলেন, পহেলা জুলাই থেকে ৫ আগস্ট কোন কোন গণমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী অ্যাখ্যা দেয়া হয়েছে, কোন কোন গণমাধ্যমে ফ্যাসিবাদী বয়ান তৈরি হয়েছে তা চিহ্নিত করা হবে। গণমাধ্যমে গত ১৬ বছর কার কী ভূমিকা ছিল তা নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন। গত নির্বাচনগুলোকে কারা বৈধতা দিয়েছে দেখতে হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার প্রতিটি প্রেস কনফারেন্সকে প্রমাণ ধরে কোন সাংবাদিকের ভূমিকা কেমন ছিল সেটা ধরে ধরে পদক্ষেপ নেবে সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, আওয়ামী লীগ যেভাবে ১৫-১৬ বছর আমাদের ভয়েস কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে; কাউকে শিবির ট্যাগ দিয়ে, কাউকে বিএনপি ট্যাগ দিয়ে... এ ধরনের পরিবেশ আমরা যেন না করি। আমরা যেন আমাদের অ্যাটিচিউডে ফ্যাসিবাদী না হই। আমরা যেন আরেকজনের ভয়েসটা কেড়ে না নিই। বাংলাদেশে যারা ক্রিটিসাইজ করে তাদের ভয়েস আমরা যেন কেড়ে না নিই। আমরা প্রত্যেকটা ভয়েসকে ওয়েলকাম জানাই। প্রত্যেকটা ভয়েস বাংলাদেশে জারি থাকুক।

শফিকুল আলম বলেন, শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে যে কিলিং হয়েছে, আমরা ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডে এগুলো বের করব। ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত শেখ হাসিনা অনেক প্রেস কনফারেন্স করেছেন। প্রত্যেকটার বিবরণ আছে। কে কী করেছেন সেটা রয়েছে। প্রত্যেকটা ঘটনা ধরে ধরে কার কী রোল ছিল সেটা লিপিবদ্ধ করে রাখতে হবে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট রাইট গ্রুপগুলোকে আমরা ইনভাইট করব। তারা যাতে এসে ইনভেস্টিগেশন করে দেখে দেশে কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে। প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড নিয়ে তারা অনেক স্টেটমেন্ট দিয়েছে। তাদের স্টেটমেন্টকে আমরা ওয়েলকাম জানাই। কিš‘ গত ১৫ বছরে কী ধরনের ভয়াবহ জার্নালিজম হয়েছে সেটা জানুক।

ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম চাই- এর আহ্বায়ক সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন শিশিরের সভাপতিত্বে এবং মুখপাত্র প্লাবন তারিকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বাসসের সিনিয়র সাংবাদিক এসএম রাশেদুল ইসলাম, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের চিফ রিপোর্টার আব্বাস উদ্দিন নয়ন, গবেষক ও শিক্ষক মাহাবুব আলম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ডা. তৌহিদুর রহমান আওয়াল, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রকাশনা সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও একতার বাংলাদেশের সদস্য সচিব তাহমিদ আল মুদাসসির, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যরিস্টার শিহাব উদ্দিন খান, নিউ এইজের সিনিয়র সাংবাদিক ফয়েজ আহমেদ প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত