?কফি দানার গুঁড়া ও পানি মিলিয়েই সাধারণত ব্ল্যাক কফি তৈরি করা হয়। কেউ কেউ আবার চিনি, দুধ ক্রিম মিলিয়ে থাকেন। তবে যারা খাঁটি কফিপ্রেমী তারা সাধারণত আলাদা কোনো উপাদান কফিতে মেশান না। ব্ল্যাক কফিপ্রেমীদের এই পানীয়টি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ব্ল্যাক কফি হলো সাধারণ কফি যাতে কোনো ক্রিম, দুধ এবং মিষ্টি নেই। সুতরাং আপনি ক্যালরি, চর্বি এবং চিনি যোগ না করেই কফির সুবিধা পাবেন। ৮ আউন্স বা কফির দোকানে রেগুলার কাপের সমপরিমাণ কফি পানে সাধারণত যেসব উপকার মিলতে পারে তা হলো-
হৃদযন্ত্র শক্তিশালী করে : ব্ল্যাক কফি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং এটা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত দু-এক কাপ কফি পান করলে তা হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
স্মৃতি শক্তি বাড়ায় : ধারণা করা হয় ব্ল্যাক কফিতে এমন উপাদান আছে যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটা স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি বয়স বৃদ্ধির কারণে স্মৃতিলোপ পাওয়ার ঝুঁকি কমায়।
যকৃত সুস্থ রাখতে : নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে ব্ল্যাক কফি খাওয়া হলে যকৃতের ক্যান্সার, ফ্যাটি লিভার, হেপাটাইটিস, অ্যাল্কোহলের কারণে হওয়া ‘লিভার সিরোসিস’ হওয়ার ঝুঁকি কমে। ব্ল্যাক কফি যকৃতের ক্ষতিকারক এনজাইমের মাত্রা কমাতেও সহায়তা করে।
পাকস্থলী পরিষ্কার রাখে : কফি মূত্রবর্ধক। তাই, কফি পান শরীর থেকে ক্ষতিকারক উপাদান ও ব্যাক্টেরিয়া বের করে দিয়ে পাকস্থলী পরিষ্কার করতে ও শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ : ব্ল্যাক কফিতে নানা রকমের আন্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি টু, বি থ্রি এবং বি ফাইভ এবং ম্যাঙ্গানিজ।
ওজন কমাতে সহায়তা করে : শরীরচর্চার কার্যকারিতা বাড়াতে শরীরচর্চা করার ৩০ মিনিট আগে ব্ল্যাক কফি পান করা ভালো। এটা বিপাক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে সাহায্য করে। এটা পেটের মেদ কমাতেও সহায়তা করে। ব্ল্যাক কফি স্নায়ুকে উজ্জীপিত করে শরীরের চর্বির কোষ ভেঙে ফেলে এবং গ্লাইকোজেনের বিপরীত শক্তির উৎস হিসেবে সংকেত দেয়।