বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেছেন, বর্তমানে সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। চাহিদা ও যোগানে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে হবে। উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমরা বাণিজ্য বেশিসংখ্যক মানুষের সংযোগ বাড়াতে চাই। এর মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ বাড়বে। গুটিকয়েক ব্যবসায়ীর কাছে বাজার জিম্মি থাকবে না। সরবরাহে কোনো কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে দেয়া হবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ অডিটোরিয়ামে সার্বিক বাজার পরিস্থিতি, টিসিবির পণ্য বিতরণ কার্যক্রম ও দ্রব্যমূল্য বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপদেষ্টা বলেন, আমরা বাণিজ্যে বেশি সংখ্যক মানুষের সংযোগ বাড়াতে চাই। এর মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ বাড়বে। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সনাতন লেনদেনের কাঠামো পরিবর্তন করতে হবে। লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে হবে। কাউকে অপরাধী হিসেবে পরিচিত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। পাইকারি থেকে খুচরা সব পর্যায়ে ক্রয়-বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ করতে হবে। কোনও অস্বচ্ছতা রেখে বাজার অস্থিতিশীল করতে দেয়া হবে না। শেখ বশির উদ্দিন আরো বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আসছে- খাতুনগঞ্জে ডিও ও এসও বিক্রি হচ্ছে। বাণিজ্য এখন ভার্চুয়ালি হচ্ছে, পণ্য সরবরাহ হচ্ছে না। শুধু ডিও বিক্রি করে লাভবান হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসায়ী নেতাদের এটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলীম আখতার খান, টিসিবি চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা ইকবাল, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশ এবং ছাত্র প্রতিনিধি জোবায়েরুল আলম বারী বক্তব্য দেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার জানান, গত ২ মাসে চট্টগ্রাম বিভাগে স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে ৬১টি মতবিনিময় সভা, ৪ শতাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা হয়েছে এবং ৪৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলা প্রশাসক, জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।