বরগুনার আমতলীতে পাগলা কুকুরের কামড়ে ৩২ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও কিশোর। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে তিন ঘণ্টায় পৌরসভার দুই ও তিন নম্বর ওয়ার্ডে কুকুর কামড়ানোর ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সকাল ৯টার সময় আমতলী পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এমএ কাদের ও নান্নু মোল্লা সড়কের অবস্থিত এনএসএস অফিসের সাপোর্ট স্টাফ মাসুদ রানা (৪৫) কাজ করছিল। এ সময় একটি পাগলা কুকুর এসে তাকে কামড় দেয়। এরপর একে একে কুকুরটি একই ওয়ার্ডের রাফিন (৬), জাহিদ (১৫), তানিয়া বেগম (১১), আবু রায়হান (১২) তানজিল আহম্মেদ (১৫), লাল চান (১০), তমাল (২৪), আপন হাওলাদার (২০), শাকিব (১৪), শংকর (৩২), জোহামনি (৯), সীমা (২৯), শফালী (৫০), নির্মল (৫৫), ইয়ামনি (১১) নয়ন (১৯), মোমেনা (১৭), হাফছা (৩২) এখলাস (১৩) আব্দুল মন্নান (৩৩), ইয়ামিন (১৪), বাচ্চু মিয়া (৪০) তিন নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল্লাহ (৭), আরাফাত (৯), আব্দুল মালেক (৭৫), হাসিব (৭), ইউসুব (২৪), সাগর (১৯), আরিফ (১৮), শাহাভানু (১০৪), নির্মল (৫৫) আহত হন। আহত রাফিনের বাবা মস্তফা মাতুব্বর বলেন, ছেলের চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি রক্তাত্ব অবস্থায় সে চিৎকার করছে। ভয়ে তার শরীর কাপছিল। দ্রুত তাকে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে যাই। হাসপাতাল এবং পৌরসভায় কোনো টিকা না থাকায় বাহির থেকে কিনে টিকা দিয়েছি। আমতলী পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের সত্তোরোর্ধ আব্দুল মালেক জানান, সরকারি হাইস্কুলের সড়ক ধরে বাসায় ফিরছিলাম। আকস্মিক একটি কালো রঙ্গের কুকুর এসে আমাকে কামড় দেয়। ভয়ে দৌড় দিয়েও রক্ষা পায়নি। পরে ভ্যাকসিন কিনে চিকিৎসা নিয়েছি। আমতলী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান খান বলেন, কুকুরের কামড়ে আহত ১২ জনকে আমতলী হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়েছি। আরো ছয়জন বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, পাগলা কুকুরের আক্রমনে আহত হওয়ার খবর শুনে পৌরসভার সংশ্লিষ্ট শাখাকে এ ব্যাপারে প্রয়োজীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।