স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনে থাকা দপ্তর কিংবা সংস্থায় কর্মরত চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশে সেমিনার/সভা/ সিম্পোজিয়াম/প্রশিক্ষণ/ কর্মশালায় অংশ নিতে পারবেন না। গতকাল রবিবার স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে জারি করা নীতিমালায় এ কথা বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আবদুল হাইয়ের সই এক অফিস আদেশে এই নীতিমালা প্রকাশ করা হয়। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে এই নীতিমালা কার্যকর হবে। এতে বলা হয়, পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীন দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত চিকিৎসকদের বৈদেশিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে এই নীতিমালা অনুসরণ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হলো।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বছরে (সর্বশেষ ১২ মাস) সর্বোচ্চ দুইবার বৈদেশিক সেমিনার/ সভা/সিম্পোজিয়াম/প্রশিক্ষণ/কর্মশালা ইত্যাদিতে যেতে পারবেন।
প্রার্থী যে বিষয়ে অভিজ্ঞ বা যে বিষয়ের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত (দায়িত্ব পালনরত), কেবল সেই বিষয়ে আমন্ত্রিত হতে পারবেন। প্রার্থী যে বিষয়ে অধ্যয়নরত সেই বিষয়ে আমন্ত্রিত হয়ে গমন করতে পারবেন।
আমন্ত্রণকারী সংস্থার নিজস্ব ডোমেইনভুক্ত ওয়েবমেইল থেকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ওয়েবমেইলে ([email protected], cc: [email protected]) আমন্ত্রণপত্রের অনুলিপি/কপি পাঠাতে হবে।
আমন্ত্রণকারী সংস্থা যাবতীয় খরচ (ভিসা ফি, উভয় পথের বিমানভাড়া, আবাসন ব্যবস্থা/খরচ ইত্যাদি) বহন করবেন বলে সংস্থা থেকে প্রত্যয়নপত্র প্রমাণক হিসেবে দাখিল করতে হবে।
বৈদেশিক সেমিনার/সভা/সিম্পোজিয়াম/প্রশিক্ষণ/কর্মশালা ইত্যাদিতে যাওয়ার আগে এবং ফেরত আসার পর একটি প্রতিবেদন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের (প্রশাসন-১) শাখায় দাখিল করতে হবে। তৃতীয় পক্ষ খরচ বহন করবে, এরকম যে কোনো আবেদন সরাসরি বিবেচনার বাহিরে থাকবে বলা হয়েছে নীতিমালায়।
এ ছাড়া বৈদেশিক প্রমাণস্বরূপ প্রোগ্রামে যোগদানের ও সমাপ্তি দিনের ছবি দাখিল করতে হবে। যথাযথ মাধ্যমে অগ্রায়নকৃত আবেদনে প্রতিষ্ঠান/দপ্তর প্রধান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশ থাকতে হবে।
অগ্রায়নের আগে প্রতিষ্ঠান/দপ্তর প্রধান প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্র ১নং থেকে থেকে ৯ নম্বর শর্ত যাচাই করে সঠিক পাওয়া গেলো (ভেরিফায়েড অ্যান্ড ফাউন্ড ওকে) লিখে প্রত্যয়ন করতে হবে। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়, যা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিবেচ্য মনে করেন।
আদেশে বলা হয়, উপরোক্ত নির্দেশনাগুলো আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।