চলতি বছরের সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি ২ দশমিক ০৬ শতাংশ কমেছে। গতকাল রবিবার বিজিএমইএ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ২০২৪ সালের অক্টোবরে ইইউভুক্ত দেশগুলো থেকে ১৪ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৪ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার।
শুধু বাংলাদেশ নয়, শীর্ষ রফতানিকারক দেশগুলোও নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি রেকর্ড করেছে। অন্যদিকে, ইউরোপীয় দেশগুলোর মোট পোশাক আমদানি ২ দশমিক ০২ শতাংশ কমেছে। ২০২৪ সালের প্রথম ১০ মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তৈরি পোশাকের আমদানি ছিল ৬৮ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৬৯ দশমিক ৮০ বিলিয়ন।
অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ প্রতিদ্বন্দ্বী ভালো ফল করেছে এবং প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ভিয়েতনামের রফতানি আয় শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ বেড়ে ৩ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আর কম্বোডিয়ার আয় ১৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলারে। পোশাক পণ্য থেকে পাকিস্তানের রফতানি আয় ৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেড়ে ২ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন হয়েছে। কিন্তু ভারতের কমেছে দশমিক ৬৯ শতাংশ।
পোশাক পণ্যের এক নম্বর রফতানিকারক দেশ চীন ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখেছে। চীন আয় করেছে ১৮ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৯ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে তৃতীয় বৃহত্তম পোশাক রফতানিকারক তুরস্ক ৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি রেকর্ড করেছে এবং ৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।