ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ই-রিটার্ন দাখিলে ৫ লাখের মাইলফলক

ই-রিটার্ন দাখিলে ৫ লাখের মাইলফলক

২০২৪-২০২৫ করবর্ষে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। একই সঙ্গে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের উদ্দেশ্যে ১২ লাখ ৫০ হাজার করদাতা রেজিস্ট্রেশন করেছেন। গত বছর একই সময়ে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ১৭ হাজার ৪৭১টি, যেখানে চলতি বছরে এই সংখ্যা ৫ লাখ অতিক্রম করেছে, যা প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২৯ শতাংশ। এনবিআরের পক্ষ থেকে এই সাফল্যের জন্য করদাতাদের ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।

অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সেবা ও সুবিধা : গতকাল সোমবার, এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ মু’মেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং জানান যে, ২০২৪-২০২৫ করবর্ষে করদাতাদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের পদ্ধতিটি আরো সহজ এবং দ্রুততর করা হয়েছে। ১২ লাখ ৫০ হাজার রেজিস্ট্রেশন হওয়া সত্ত্বেও অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব হচ্ছে নির্বিঘ্নে এবং একই সঙ্গে করদাতারা দাখিল করা রিটার্নের কপি, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র, আয়কর সনদ, টিআইএন সনদ ডাউনলোড এবং প্রিন্ট করতে পারছেন। এনবিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, রিটার্ন দাখিলকারীদের জন্য বিভিন্নভাবে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রায় ২ হাজার ৪০০ জন করদাতাকে রিটার্ন দাখিল ও অন্যান্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ব্যাংক, মোবাইল টেলিকম প্রতিষ্ঠান, আয়কর আইনজীবী এবং প্রশিক্ষণপ্রার্থী করদাতারাও রয়েছেন। ফলে করদাতারা এখন খুব সহজে এবং দ্রুত আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে সক্ষম হচ্ছেন। আধুনিক ই-রিটার্ন সিস্টেম : এনবিআর আরো জানায়, ই-রিটার্ন সিস্টেমকে আরো করদাতাবান্ধব করা হয়েছে। সিস্টেমটি ব্যবহার করে, করদাতারা সহজে এবং দ্রুত তাদের রিটার্ন তৈরি করে অনলাইনে দাখিল করতে পারছেন। ইন্টারনেট ব্যাংকিং, কার্ড পেমেন্ট ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে করদাতারা কর পরিশোধ করতে সক্ষম হচ্ছেন। একই সঙ্গে, পূর্ববর্তী বছরগুলোর দাখিলকৃত ই-রিটার্নও ডাউনলোড এবং প্রিন্ট করা সম্ভব হচ্ছে। এনবিআর আরো জানায় যে, ই-রিটার্ন সিস্টেম ব্যবহারকারীদের জন্য পদ্ধতির উন্নতি সাধন করা হয়েছে। যে কেউ এখন দ্রুত রিটার্ন দাখিল এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছেন। এতে অনলাইনে কর পরিশোধ ও রিটার্ন ডাউনলোডের সুবিধাও পাচ্ছেন করদাতারা।

কর তথ্যসেবা মাস : এছাড়া, করদাতাদের সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে ৩ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে কর তথ্যসেবা মাস, যা চলবে নভেম্বর মাসজুড়ে। ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামসহ দেশের ৪১টি কর অঞ্চলের ৮৬৯টি সার্কেলে নিরবচ্ছিন্নভাবে করসেবা পাওয়া যাবে।

বাধ্যতামূলক রিটার্ন দাখিল : এ বছর, ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে সরকারি কর্মচারী, সব তফশিলি ব্যাংক, মোবাইল টেলিকম সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং কিছু মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এনবিআরের সহায়তা ব্যবস্থা : করদাতাদের সহায়তা দেওয়ার জন্য এনবিআর একটি কল সেন্টার স্থাপন করেছে। অফিস চলাকালীন সময়ে করদাতারা ০৯৬৪৩ ৭১ ৭১ ৭১ নম্বরে কল করে তাদের সমস্যা সমাধান করতে পারেন। এছাড়া, এনবিআরের ওয়েবসাইটে ও ভিডিও টিউটোরিয়ালসহ বিভিন্ন সহায়ক উপকরণ উপলব্ধ রয়েছে, যার মাধ্যমে করদাতারা সহজেই রিটার্ন দাখিল এবং অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেন। এনবিআরের এই উদ্যোগের ফলে, করদাতারা সহজে এবং ঝামেলাবিহীনভাবে তাদের আয়কর রিটার্ন দাখিল এবং অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারছেন। সরকার দেশের রাজস্ব বাড়াতে একদিকে যেমন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, তেমনি করদাতাদের জন্য সেবা ব্যবস্থা আরো সহজ করছে, যা দেশের কর ব্যবস্থার উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত