টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, গত বছর। জেলার ১২টি উপজেলায় শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে। চলতি বছরে জেলায় সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৮০০ হেক্টর জমি। এ পর্যন্ত ৫ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে। রবি (শীতকাল) ও খরিপ (গ্রীষ্মকাল) এ দুই দু’ধরনের মৌসুম রয়েছে। তবে শীতকালীন শাক-সবজির মধ্যে বাহারি ও রকমারি বৈচিত্র্য একটু বেশি। শুধুমাত্র শীতকালে উৎপাদন হয় এমন ফসলগুলোর মধ্যে রয়েছে- টমেটো, লাউ, ফুলকপি, বাধাকপি, গাজর, সীম, মূলা, ব্রুকলি, বাটিশাক, ওলকপি, শালগম, বেগুন, গোলআলু ইত্যাদি প্রধান। অপরদিকে শুধুমাত্র গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে উৎপাদিত হয়, এমন ফসলের মধ্যে রয়েছে, বিভিন্ন ধরনেরকচু, ওলকচু, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, কাকরোল. পটোল, করলা, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া ইত্যাদি প্রধান। কিছু শাকসবজি আছে তৈরি বেডে ছিটিয়ে বীজ বুনে দিলেই ভালো ফলন হয়। আর কিছু সবজি আছে মিটারের বেডে দুই সারি করে নির্ধারিত দূরত্বে চারা লাগিয়ে আবাদ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।
পটোল, ঝিঙ্গা, করলা, সীম, লাউ জাতীয় সবজি চাষের জন্য বেডে দুটি সারি করে সেখানে জাংলা দিতে হয়। এভাবেই সারা বছর শাকসবজি উৎপাদন করে নিজের চাহিদা মিটিয়ে তা বাণিজ্যিকভাবেও লাভবান হচ্ছে কৃষকরা। সদর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়া জানান, অন্য ফসলের চেয়ে তাদের এলাকায় প্রতি বছরই বাড়ছে সবজি চাষে জমির পরিমাণ। আগে ধান চাষ করা হতো বর্তমানে ধানের পরিবর্তে সবজি চাষ হচ্ছে। সবজি চাষে তারা লাভবান হচ্ছেন। সবজি চাষি কৃষক আলাউদ্দিন জানান, অন্যান্য ফসলের চেয়ে শীতকালিন সবজি চাষ করে বেশি লাভবান হওয়া যায়, এ কারণে বেশিরভাগ জমিতে সবজি চাষ করেন তিনি। টাঙ্গাইলের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সিনিয়র কর্মকর্তা ফারজানা খান জানান, টাঙ্গাইল জেলা সবধরনের সবজি চাষের জন্য বিখ্যাত। প্রতি বছর এ জেলায় বিপুল পরিমাণ সবজি চাষ হয়। তাতে জেলার চাহিদা মিটিয়ে এসব সবজি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়। এদিকে সব ধরনের সবজির দামও ভালো পাওয়া যায়। সেজন্যই কৃষকরা বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে শীতকালীন সবজি চাষে।