ভালো একটি নির্বাচন আয়োজন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন সদ্য দায়িত্ব পাওয়া নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তবে এখনো নির্বাচন নিয়ে কথা বলার সময় হয়নি বলে মনে করেন তিনি। গতকাল সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। গণআন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ক্ষমতায় আসে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকে রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে আসছে। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে দ্রুত নির্বাচন দেয়া সম্ভব কি না জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ বলেন, আমরা একটা পলিটিক্যাল প্রসেসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। সেই প্রসেসটা আমি নিশ্চিত, আপনারা হয়তো প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য শুনেছেন যে, এই সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন দেওয়া। তবে যেসব সংস্কার কার্যক্রম তারা হাতে নিয়েছে সেগুলো চলমান আছে- তো চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া, আমাদের হাতে যেসব কাজ আছে সব মিলিয়ে দ্রুত ব্যাপারটা হয়তো রিলেটিভই থাকবে। তবে সবারই তো উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনের দিকেই যাওয়া। যথাযথ সময়ে নির্বাচন নিয়ে আমরা কথা বলব। এখনই আমার মনে হয় কথা বলার সময় আসেনি।
সানাউল্লাহ বলেন, কোনো প্রেক্ষাপটে এই কমিশন গঠন করা হয়েছে; জাতীর প্রত্যাশা, আমরা কী চাই ভবিষ্যতে এবং একনিষ্ঠতা, সততা, জবাবদিহিতার বিষয়ে সভায় কথা হয়েছে। আমাদের চাওয়া খুব সিম্পল, একটা সুন্দর নির্বাচন। গত বৃহম্পতিবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এএমএম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার কমিশনারকে শপথ পাঠ করান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
শপথ নেয়া চার নির্বাচন কমিশনার হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব তহমিদা আহ্?মদ ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।