সিরাজগঞ্জে এবার রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এরইমধ্যে ধান কাটা ও মাড়াই পুরোদমে শুরু হয়েছে। এতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক কৃষানিরা। বাজারে এখন নতুন ধানের দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষকরা ৭৫ হাজার ৭৭৬ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষাবাদ করেছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ২১৬ মেট্রিক টন। তবে এ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। শষ্যভাণ্ডারখ্যাত সিরাজগঞ্জের চলনবিল এলাকার তাড়াশ, উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ ও শাহজাদপুর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলে এ চাষাবাদ বেশি হয়েছে। এ অঞ্চলের এ ধান কাটা ও মাড়াইয়ের দৃশ্য দেখলেও মন জুড়িয়ে যায়। এছাড়া জেলার অনান্য উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ চাষাবাদও ভালো হয়েছে এবং জেলার সবক’টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বৃ-৭৫, বৃ-৭১, বৃ-৭২, বৃ-৮৭ ও বিনা ১৭ উন্নতজাতের ধান চাষ করেছে কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার এ চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এ ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। বিশেষ করে রাতে কৃষকের বাড়ি মাঠে টুঙ্গি তুলে এ ধান মাড়াইয়ের ধুম পড়েছে। এ নতুন ধান এখন হাট-বাজারে উঠছে এবং দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, এবার রোপা আমন চাষাবাদে খরচ কম হয়েছে। তবে ধান কাটা ও মাড়াই কাজে কামলার দাম কিছুটা বেশি হলেও বাজারে ধানের দাম ভালো রয়েছে। জমি থেকে ধান কাটার পর সেই জমিতেই সরিষা চাষাবাদ শুরু করা হয়েছে ও হচ্ছে। আর হাট-বাজারে কৃষকের এ নতুন কেনা বেচারও প্রায় হিড়িক পড়েছে। বর্তমানে প্রতিমণ ধান গড়ে সাড়ে ১১শ’ থেকে ১৩শ’ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। এদিকে সংশ্লিষ্ট উপজেলা গুদামগুলোতে এখনো সরকারিভাবে ধান ক্রয় অভিযান শুরু হয়নি। এ নিয়েও স্থানীয় কৃষকর মধ্যে নানা আলোচনাও উঠেছে। অবশ্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. হারুন অর রশীদ আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, খুব শিগগিরই রোপা আমন ধান সরকারের নির্ধারিত মূল্যে ক্রয় অভিযান শুরু হবে। এরইমধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আ. জা. মু. আহসান শহীদ সরকার বলেন, এবার জেলায় রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।